আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের পর প্রথম এসএসসি। রবিবারের পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে। পরীক্ষা শেষের পর X হ্যান্ডেলে পরীক্ষার্থী, আধিকারিকদের শুভেচ্ছা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
তিনি লেখেন, “আজ রাজ্যের ৬৩৬টি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। নবম-দশম শ্রেণির SSC পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে। পরীক্ষার্থী, আধিকারিক, স্কুলশিক্ষা দপ্তর-সহ সমস্ত আধিকারিককে শুভেচ্ছা জানাই। আমি আশা করি আগামী রবিবারের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির এসএসসি পরীক্ষাকে স্বচ্ছ রাখতে সমস্ত সাহায্য করবেন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা।”
Today, 3.5 lakh candidates appeared across 636 centres for the Assistant Teacher recruitment exam (Classes IX–X), which was conducted successfully. My sincere congratulations to all candidates, WBCSSC, the School Education Department, and all officials involved. The entire…
— Bratya Basu (@basu_bratya)Tweet by @basu_bratya
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের এক কলমের আঁচড়ে চাকরিহারা অন্তত ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ফের পরীক্ষা নিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। সেই অনুযায়ী দু’দফায় এসএসসি পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়। ৭ সেপ্টেম্বরের পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। পরীক্ষায় যাতে কোনওরকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে বিষয়ে একাধিক পদক্ষেপ করে কমিশন।
এদিন সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে শুরু করেন। নথিপত্র খতিয়ে দেখে তাঁদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়। এবার অ্যাডমিট কার্ড নকল রুখতে বিশেষ বার কোড স্ক্যানারের বন্দোবস্ত করা হয়। প্রশ্নফাঁস রুখতেও একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়। শনিবারই এসএসসি’র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছিলেন, প্রশ্নপত্রে ছবি তুলে ফাঁস করার চেষ্টা করলে তা জানতে পারবে SSC। তবে এদিন কোথাও কোনও প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা হয়নি বলেই কমিশন সূত্রে খবর।
মোটের উপর নির্বিঘ্নেই শেষ হল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর নবম-দশম শ্রেণিতে নিয়োগের পরীক্ষা। দুপুর ১২টায় রাজ্যের ৬৩৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। দেড়টায় পরীক্ষা শেষ হল। অবশ্য বিশেষ ভাবে সক্ষমেরা আধ ঘণ্টা বেশি সময় পাবেন। তাঁদের পরীক্ষা শেষ হয় দুপুর ২টোয়। পরীক্ষা দিয়ে খুশি পরীক্ষার্থীরাও। তাঁদের অধিকাংশই পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে জানিয়েছেন, প্রশ্নপত্র ভাল হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলা ভাষা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার, নতুন কী থাকছে
এবার ওএমআর নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছিল কমিশন। নতুন নিয়োগ বিধি অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীরা ওএমআরের কার্বন কপি সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন। সেই মতো ওএমআরের কার্বন কপি সঙ্গে নিয়ে বেরোন পরীক্ষার্থীরা। নিয়োগ বিধি অনুযায়ী, প্যানেল এবং ওয়েটিং লিস্টের মেয়াদ থাকবে নিয়োগের প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পরে এক বছর পর্যন্ত। তবে রাজ্য সরকারের আগাম অনুমতি নিয়ে তার মেয়াদ আরও ছ’মাস বৃদ্ধি করতে পারবে কমিশন। বিধিতে এ-ও বলা হয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরে দু’বছর ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা হবে। ওএমআর শিটের স্ক্যান করা প্রতিলিপি প্যানেলের মেয়াদ শেষের ১০ বছর পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে।
রবিবার নবম-দশমে নিয়োগের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩,১৯,৯১৯। মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ৬৩৬। পরের রবিবার, অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগের পরীক্ষা। তাতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২,৪৬,৫০০। মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ৪৭৮। এসএসসি আগেই জানিয়েছিল, ২০১৬ সালে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের প্রায় সকলেই আবার আবেদন করেছেন। গত বারের চেয়ে এ বার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অন্তত আড়াই লক্ষ বেশি।
