আজকাল ওয়েবডেস্ক: এসআইআর আতঙ্ক। বাংলায় এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই, একের পর এক ঘটনা সামনে আসছে। একাধিক জায়গায় আতঙ্কে মৃত্যুর অভিযোগ উঠে আসছে। বহু জায়গায় আতঙ্কের ছবি। তেমনই আতঙ্কে ভুগছে হুগলির বলাগড়ের বাকুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করিন্যা গ্রামের বাসিন্দারা। কেন আতঙ্ক? ওই গ্রামের প্রায় কারোরই নাম নেই ২০০২-এর ভোটার তালিকায়। নির্বাচন কমিশন ওই তালিকায় নাম ধরে এসআইআর করতে বলেছে। বিএলওরা বাড়ি বাড়ি ফর্ম বিলি করেছেন। কিন্তু ফর্ম ভরতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে গ্রামের কারোর নাম নেই ২০০২-এর তালিকায়।
ওই তালিকায় নাম থাকলে সহজেই এসআইআর এ নাম চলে আসবে বলেছে নির্বাচন কমিশন। যাঁদের ২০০২ নাম নেই তাঁদের বাবা-মা'র নাম থাকলেও হবে। কিন্তু গ্রামবাসীদের অনেকের মা-বাবার নামও নেই ভোটার তালিকায়। অথচ বাকুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করিন্যা গ্রামবাসীরা ভোট দেন। ২০০২ সালে যা ছিল, ৫৯ নম্বর বুথ এখন তা হয়েছে ৬৯ ও ৭০ নম্বর। কী হবে কী হবে দুশ্চিন্তায় কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন গ্রামবাসীরা।
যাঁরা ভীন রাজ্যে থাকেন তাঁরা অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে পারছেন না ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে ম্যাপিং করা নেই বলে, জানান বাকুলিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান গনেশ মান্ডি।
তাদের দাবী, বছরের পর বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করছেন, সরকারি সমস্ত নথি — আধার, রেশন কার্ড, জমির দলিল, এমনকী ভোটার আইডিও তাঁদের হাতে রয়েছে। তবুও তালিকায় তাঁদের নাম উধাও। এতে অনেকে আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে তাঁরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্যরা জানিয়েছেন, বিষয়টি ইতিমধ্যেই নির্বাচন দপ্তরে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে জেলা প্রশাসনের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে কেন এত মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
