আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনলাইনের মাধ্যমে প্রতারণার বিভিন্ন ফাঁদ পেতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে বেমালুম ঘুরে বেড়াচ্ছিল। অবশেষে পুলিশের জালে ছয় প্রতারক। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রায় ১০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি করছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। 

 

বৃহস্পতিবার বনগাঁর পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, গোটা দেশে অনলাইনে প্রতারণার বিভিন্ন ফাঁদ পেতে ওই চক্র সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে। ধৃত ছয় যুবকের ১২টি ভুয়ো কোম্পানির নামে তৈরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা রাখা হত। অ্যাকাউন্টগুলো তৈরি করতে বেসরকারি এক ব্যাংকের কমার্শিয়াল ম্যানেজার সহযোগিতা করেছিলেন। তাঁর নাম অরিন্দম বিশ্বাস। পুলিশ তাঁকেও গ্রেপ্তার করেছে। ভুয়ো কোম্পানির অ্যাকাউন্টে রাখা টাকা পরবর্তীকালে প্রতারকরা নিজেদের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিত। বিনিময়ে ব্যাংক ম্যানেজার অরিন্দম ওই ছয় যুবকের কাছ থেকে মোটা টাকা পেতেন।

 

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ছয় জনের নাম সুব্রত মণ্ডল, উদয়ন বিশ্বাস, নিলয় ঘোষ, নবীন বিশ্বাস,দেবব্রত মণ্ডল ও সুজয় রায়। তারা সকলেই বাগদা থানার সিন্দ্রাণী গ্রামের বাসিন্দা। গোটা দেশে তারা ২৩টি অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। প্রতারণার নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে ওই ছয় যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধৃত যুবকের কাছ থেকে ১৬টি এটিএম কার্ড, ১৫৫টি চেকবুক, সাতটি ব্যাংকের পাসবই, তিনটি সিপিইউ, ৯০টি স্ট্যাম্প ও ১১টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, ও একটি ট্যাব উদ্ধার করেছে। 

 

ওই চক্রের ব্যবহৃত মোট ২৩টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে ১২টি অ্যাকাউন্ট ধৃত ছয় যুবকের। পাশাপাশি পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা প্রতারণার টাকায় একটি সাফারি গাড়ি, তিনটি মোটরবাইক, ৮০ লক্ষ টাকা মূল্যের ফ্ল্যাটের কাগজ-সহ প্রচুর পরিমাণে সোনার অলংকার নিজেদের নামে কিনেছে। পুলিশ সেগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে।