আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফাস্টফুডের রমরমা। হারিয়ে য়াওয়ার উপক্রম বাঙালির সাধের পিঠে-পুলি, এমনকি গ্রামবাংলাতেও। তবে, বর্তমান প্রজন্মের কচিকাচাদের শীতের মরশুমের পিঠে-পুলির স্বাদ পাইয়ে দিতে সৈকতে শুরু হল পিঠেপুলির উৎসব। দিঘার কাছে এই উৎসবের শুরুর দিনে উপচে পড়া ভিড়।

এই প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর বিধানসভার গোবরা পঞ্চায়েতের গোবরা সম্প্রীতির ময়দানে শুরু হয়েছে পিঠে-পুলি ও সম্প্রীতির উৎসব। উৎসবের আয়োজনে গোবরা গ্রাম পঞ্চায়েত ও গোবরা নজরুল সংঘ।

শীতকাল মানেই হরেক স্বাদের হাতছানি। তার মধ্যে অন্যতম বাঙালির প্রিয় পিঠে-পুলি। কিন্তু, কালের নিয়মে নানা কারণে সে স্বাদ থেকে বঞ্চিত অধিকাংশ বাঙালি। আর মিললেও আগেকার দিনের পিঠে পুলির স্বাদ যেন সোনার পাথর-বাটি। সে স্বাদ জানেই না বর্তমান প্রজন্মের কচিকাঁচারা। সেই অপূর্ণতা মেটাতেই এ ধরনের পিঠে পুলি উৎসবের আয়োজন। এই উৎসবের সূচনা করেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি। আগামী বেশ কয়েকদিন ধরে চলবে এই উৎসব।

উৎসবে বিভিন্ন ধরনের পুলি-পিঠের মধ্যে দেখা গেল মুগেরপুলি, ভাজাপুলি, দুধপুলি, চন্দ্রপুলি, সেদ্ধপুলি। এছাড়াও পাটিসাপটা, গোকুলপিঠে, পোস্তর পিঠে, নারকেল পিঠে, সরুচাকলি, গড়গড়া, পাতসিজা ইত্যাদিও বিকোচ্ছে দেদার।  

এই পিঠে-পুলি ও সম্প্রীতি উৎসবে উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক অখিল গিরি, রামনগরের বিশিষ্ট পরিবেশপ্রেমী উত্তম দাস, রামনগর এক পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম, গোবরা অঞ্চলের প্রধান দীপিকা পয়রা এবং পিঠে-পুলি উৎসব ও নজরুল সংঘের সভাপতি বিশ্বরঞ্জন মিশ্র।

বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, 'শীতকাল মানেই পিঠেপুলি মেলা। চাল, সুজি, নারকেল, পোস্ত, দুধ, নলেন গুড় প্রভৃতি দিয়ে তৈরি পিঠেপুলি এই সময় খুব ভালো হয়। এর জন্যই শীতকালে পিঠে-পুলি উৎসবের আয়োজন।' সংস্থার সভাপতি বিশ্বরঞ্জন মিশ্র বলেন, 'গোবরা পঞ্চায়েত ও নজরুল সংঘের যাঁরা আয়োজনের দায়িত্বে আছেন তাঁদের বহুদিনের প্রস্তাব ছিল এই মেলার, যা এ বছর বাস্তবের রূপায়িত হ। এই পিঠে-পুলি উৎসবে ১২টি মহিলাদের সংঘ মিলে ১২টি স্টল দিয়েছে।'

মেলায় পিঠে-পুলির স্বাদ নিতে নিতে পর্যটক রেখা মেইকাপ বলেন, 'দিঘায় বেড়াতে এসে এটি একটি নতুন পাওনা। পিঠে খেলাম। তৈরির পদ্ধতি আগে জানতাম। কিন্তু প্রায় ভুলে যেতে বসেছিলাম। এখানকার মা-বোনেদের কাছ থেকে আরও একবার ভালো করে জেনে নিলাম। বাড়ি ফিরে বানানোর চেষ্টা করব।'