আজকাল ওয়েবডেস্ক: নেশামুক্তি কেন্দ্রে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ। এর ফলে উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালাল বারুইপুর থানার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অভিযুক্ত নেশামুক্তি কেন্দ্রে। যাঁরা এই কেন্দ্রটি পরিচালনা করতেন এই ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র গত দেড় বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন দক্ষিণ গড়িয়ার বাসিন্দা সৌরভ মণ্ডল। গতকাল সন্ধ্যা থেকেই ওই নেশার মুক্তি কেন্দ্রে তাকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত্যুর খবর পেয়ে সৌরভের পরিবার ও তাঁর আত্মীয়-স্বজন ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। উত্তেজনার খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বারুইপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অর্চনা মল্লিক ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তিনিও এই নেশামুক্তি কেন্দ্রে বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, ''দীর্ঘ দশ বছর ধরে এই নেশামুক্তি কেন্দ্র চলছে। এখানে মারধর করা প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। এখানে রোগীদের মারধর করার অনেক অভিযোগ রয়েছে। রোগীর চিকিৎসা করাতে আসা অনেক পরিবার একই কথা বলছেন। পুলিশকে বলেছি পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য।''
স্থানীয় বাসিন্দা ঝর্না গোস্বামী জানান, প্রতিদিন এই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। মারধর করা হয় রোগীদের। তাঁদের চিৎকার শোনা যায় প্রতিদিন। এ দিন সন্ধ্যায় এক রোগীর মৃত্যু হয়। তার আগে তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এই নেশামুক্তি কেন্দ্র যাঁরা চালাচ্ছিলেন এই ঘটনার পর তাঁরা পালিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
