আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাগরে ইতিমধ্যেই জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার সকালে তা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আছড়ে পড়বে ওড়িশার পুরী ও বাংলার সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি অঞ্চলে। অতি গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতেই বাংলার আকাশের রূপবদল। ঘন ধূসর মেঘে ঢেকেছে আকাশ। প্রশাসনের তৎপরতা, ঘনঘন মাইকিং করে সতর্কতা ছড়ানো, স্কুল ছুটি থাকে ট্রেন বাতিল, সবমিলিয়েই ঘূর্ণিঝড় 'আমফান'-এর স্মৃতি ফিরছে বাংলায়। 'ডানা'র দাপট কি 'আমফান'কে ছাড়িয়ে যাবে? কী বলছেন আবহাওয়াবিদরা? 

২০২০ সালে মে মাসে আছড়ে পড়েছিল 'আমফান'। এটি ছিল সুপার সাইক্লোন। যার গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ২২০ কিমি। সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ২৭০ কিমি/ঘণ্টা। 'আমফান'-এর তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছিল গোটা দক্ষিণবঙ্গ। এরপরেও একে একে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল', 'ফণী'। এবার আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'। বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিমি। 

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, 'ডানা' শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। আর 'আমফান' ছিল অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। ১৯৯৯ সালের সুপার সাইক্লোনের পর 'আমফান' সবচেয়ে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ছিল। ফলে 'আমফান'-কে কখনই ছাপিয়ে যাবে না 'ডানা'। তবে 'রেমাল'-এর সঙ্গে 'ডানা'র বিশেষ পার্থক্য থাকবে না। প্রবল ঝড় এবং অতি প্রবল বৃষ্টির দাপটে যদিও তুমুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। যার জন্য আগেভাগেই সতর্ক করা হয়েছে। 

গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছেন, আজ থেকে শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের ন'টি জেলার সব স্কুল বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'র দাপটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে। পাশাপাশি শিয়ালদহ স্টেশনে বৃহস্পতিবার রাত আটটা থেকে শুক্রবার সকাল দশটা পর্যন্ত সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।