আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ বন্যার জল নামতে শুরু করেছে জেলার নিচু অংশ থেকে। কিন্তু নতুন করে নিম্নচাপ আসায় আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। ফের বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা। এদিকে একাধিক এলাকা জলমগ্ন থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল বিচ্ছিন্ন। তা ধাপে ধাপে ফেরানো হচ্ছে। 


প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের শুরু থেকেই ক্রমাগত মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছেড়ে গিয়েছে ডিভিসি। যার জেরে দক্ষিণের একাধিক এলাকা প্লাবিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, এটা ‘‌ম্যান মেড বন্যা।’‌। যদিও গত শুক্রবার থেকে আর জল ছাড়েনি ডিভিসি। তার ফলে ঘাটাল–সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশ থেকে বন্যার জল নামছে। ঘাটাল, দাসপুর, ডেবরায় নদী এবং সেচখালগুলির জল বহু দিন পরে বিপদসীমার নীচে নেমেছে। জল নামায় শিলাবতী নদীর উপরে ভাসাপোল ধরে যাতায়াত শুরু করেছেন মানুষ। তবে বেশ কিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন রয়েছে। জল রয়েছে চাষের জমিতেও। এদিকে, বন্যার জল নামতে শুরু করায় ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 
অন্যদিকে বন্যার জল নামছে পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি এবং হাওড়ার বিস্তীর্ণ অংশ থেকে। দুর্গত এলাকাগুলিতে ত্রাণ পাঠাতে এখনও ভরসা সেই স্পিডবোট। বন্যার জল নামছে হুগলির খানাকুল, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর এবং আমতা থেকেও। 


পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হলেও হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গল, বুধ তো বটেই, বৃহস্পতি এবং শুক্রবার রাজ্যের উপকূলবর্তী দুই জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি হতে পারে।