আজকাল ওয়েবডেস্ক: "ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানাতে চান?" বাংলায় ভোটের প্রচারে এসে বর্ধমানের সভা থেকে প্রশ্ন ছুড়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার মালদহ উত্তরের সভায় দাঁড়িয়ে শাহকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক ব্যানার্জি। অভিষেকের কথায়, তিনটি অপশন রয়েছে। যেকোনও একটি যদি শাহ পূরণ করতে পারেন, তবে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন তিনি।
তিনটি অপশন কী কী? অভিষেকের দাবি, "এক, বাংলার প্রাপ্য ১ কোটি ৬৪ লক্ষ কোটি টাকা একমাসের মধ্যে ফিরিয়ে দিন। দুই, বিজেপির নেতারা বলছেন আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্র পাঠিয়েছে। একুশ সালের পর কেন্দ্র টাকা পাঠিয়েছে, তা প্রমাণ করুন। দুই, ডায়মন্ড হারবারে নতুন করে মনোনয়ন জমা দিন। আমাকে হারালে রাজনীতি ছেড়ে দেব। কথা দিলাম।"
এখানেই থেমে থাকেননি অভিষেক। শাহের উদ্দেশে তাঁর আরও বক্তব্য, "আমার কোনও পদের প্রয়োজন নেই। জাত, ধর্মে বিশ্বাসী নই। রাজনীতিতে আপনারা রাজে বিশ্বাস করেন, আমি নীতিতে বিশ্বাস করি। উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। আপনারা কেন্দ্রীয় এজেন্সি কাজে লাগিয়ে দেশে সর্বনাশ নামিয়ে এনেছন। আমার পদ লাগে না। সবসময় মানুষের জন্য কাজ করি। আমি মানুষের কর্মী।"
মঙ্গলবার রাজ্যে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে তিনটি সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বাংলায় অশান্তি নিয়ে তিনি যখন সরব হয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন অভিষেক। আজকের সভায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, "দেশের সবচেয়ে ব্যর্থ ও সাম্প্রদায়িক মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যাঁর রাজ্যে হাথরাস, উন্নাওয়ের মতো ঘটনা ঘটে, তাঁর থেকে আইনশৃঙ্খলা শিখতে হবে আমাদেরকে? আদিত্যনাথকে বলছি, বাংলায় আসার আগে পড়াশোনা করে আসবেন। অমিত শাহের অধীনস্থ ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো বলছে, দেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত শহর কলকাতা।"
আজকের সভায় বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু, অমিত শাহ থেকে শুরু করে বহরমপুরের বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, "সোনিয়া গান্ধী ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন। এদিকে বাংলায় অধীর চৌধুরী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন। খগেন মুর্মু একবারও বাংলার প্রাপ্য অধিকারের দাবিতে কিছু করেছেন? বাম, কংগ্রেস বিজেপির বি টিম হিসেবে এবারের ভোটে লড়ছে। মনে রাখবেন, তৃণমূল কতটা শক্তিশালী হয় তার উপর নির্ভর করছে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ।"