আজকাল ওয়েবডেস্ক:২০১৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে কুলদীপ যাদবের উত্থানের আগে পর্যন্ত ভারতে বাঁ হাতি কব্জি স্পিনার বিরল ছিল বললেই হয়।
তিনি ছ'টি ইনিংসে ১৪টি উইকেট নিয়ে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছিলেন।
ঘরোয়া এবং আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য কুলদীপ ভারতীয় দলে জায়গা করে নেন। তাঁর বৈচিত্র্যে হতবাক হয়ে যান ব্যাটসম্যানরা।
আট বছর পর কুলদীপ প্রমাণিত ম্যাচ উইনার। ২০২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের ৪-১ টেস্ট সিরিজ জয়, ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় এবং ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সাফল্যের পিছনে কুলদীপের অবদান ছিল।
আরও পড়ুন: 'বিরাটের সঙ্গে সম্পর্কটাই ...', পুরনো ঘটনা নিয়ে অনুশোচনা তারকা ক্রিকেটারের
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হ্যারি ব্রুকের উইকেট-সহ তাঁর ৩/১৯ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে রাচীন রবীন্দ্র এবং কেন উইলিয়ামসনের উইকেট নেওয়া ছিল উল্লেখযোগ্য।
২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছেন হ্যারি ব্রুকও।
২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের রান তোলার গতি থামিয়ে দেন কুলদীপ। রাচিন রবীন্দ্র এবং কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে দেন তিনি।
তবে ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজে বেঞ্চেই সময় কাটাতে হয়েছে কুলদীপকে। টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর উপরে আস্থা দেখাতে পারেনি। ব্যাটিংয়ে দুর্বলতা রয়েছে কুলদীপের। টিম ম্যানেজমেন্টের ভোট গিয়েছিল সেই অলরাউন্ডারের দিকে যিনি ভাল ব্যাট করতে পারেন।
ভারতের প্রাক্তন স্পিনার মনিন্দর সিং বলেন, ''ইংল্যান্ড সিরিজে কুলদীপ পার্থক্য গড়ে দিতে পারত।''
মনিন্দরের দাবি, কুলদীপ খেললে ভারত ২-২ ড্রয়ের পরিবর্তে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিততে পারত। ইংল্যান্ডের কয়েকটি ভেন্যু স্পিনার বান্ধব ছিল। তবুও সেই সব ভেন্যুতে কুলদীপকে নামানো হয়নি।
কেন খেলানো হল না কুলদীপকে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। মনিন্দর বলেন, ''যদি ইংল্যান্ডে কুলদীপকে খেলানো হত, তা হলে ভারত ৩-১-এ সিরিজ জিতে নিত।”
মনিন্দরের আরও সংযোজন, ''আমার মনে হয় ইংল্যান্ডে না হারার জন্য দল বাছাই করেছিলাম। যদি জেতার জন্য দল তৈরি করতাম, তাহলে কুলদীপ যাদব পাঁচটি টেস্ট ম্যাচই খেলত।''
মনিন্দর মনে করেন,''ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা জানতেও পারত না কুলদীপ কী করছে। কুলদীপের গুগলি ঠিকমতো বুঝতেও পারত না ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। প্রথম টেস্টে ওরা ৩৭১ রান তাড়া করেছিল। কুলদীপ যদি খেলত তাহলে চতুর্থ দিনের সন্ধ্যায় এবং পঞ্চম দিনে ইংল্যান্ড রান তাড়া করতে পারতই না।''
মনিন্দর উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে আসন্ন এশিয়া কাপে কুলদীপকে প্রথম একাদশে রাখা হবে না। টিম ম্যানেজমেন্ট অক্ষর প্যাটেল ও বরুণ চক্রবর্তীর উপরই সদয় হবে। মনিন্দর বলেছেন, ''এশিয়া কাপে যদি দু'জন স্পিনার খেলানো হয়, তাহলে কুলদীপ যাদবকে খেলানো হবে কিনা তা সন্দেহ রয়েছে। অক্ষর প্যাটেলের খেলার সম্ভাবনা বেশি কারণ তাঁর ব্যাটের হাত ভাল। সেই সঙ্গে বরুণ চক্রবর্তীর খেলার সম্ভাবনাও প্রবল।
