আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগেই বিজেপি নতুন জাতীয় সভাপতির নাম ঘোষণা হতে পারে। কেন্দ্রের শাসক দল নতুন জাতীয় সভাপতির নেতৃত্বে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশা করছে। কিন্তু, বিভিন্ন নাম নিয়ে জল্পনা চললেও এখনও কোনও নামেই সিলমোহর পড়েনি বলে সূত্রের খবর। 

কেন সভাপতি বাছতে হিমশিম অবস্থা বিজেপির? একটি প্রধান কারণ হল নানাস্তরে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তার আদর্শগত পরামর্শদাতা, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সিনিয়র নেতারা নাম নির্বাচনের জন্য ১০০ জন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

সূত্র জানিয়েছে যে, প্রাক্তন দলীয় প্রধান এবং সিনিয়র কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাশাপাশি আরএসএস এবং বিজেপির সঙ্গে যুক্ত এবং, সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।

বিলম্বের আরেকটি কারণ হল ৯ সেপ্টেম্বরের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। বিজেপি এই সময়ে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আশা করেনি। কিন্তু, ধনখড়ের পদত্যাগের পর এখন এই নির্বাচন প্রয়োজনীয়। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ-কে রাজ্যপাল পদপ্রার্থী করেছে এনডিএ।

বিলম্বের তৃতীয় কারণ হল গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য ইউনিটগুলির সভাপতি নির্বাচন। বিজেপি জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের আগে সব রাজ্যের নবনির্বাচিত রাজ্য নেতৃত্বকে প্রক্রিয়ায় অংশ করে তুলতে মরিয়া। এই প্রয়াস দলের সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে বলা হয়েছে যে জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের আগে তার ৩৬টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ইউনিটের মধ্যে কমপক্ষে ১৯টিতে একজন নির্বাচিত প্রধান থাকতে হবে। গত মাসে বিজেপি ২৮টি রাজ্যে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেছে।

এখন, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট এবং কর্ণাটক ছাড়াও, হরিয়ানা, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, পাঞ্জাব এবং মণিপুরে সভাপতি নির্বাচন বাকি রয়েছে। পাঞ্জাবে, বিজেপি একজন কার্যকরী সভাপতি নিয়োগ করেছে।

বর্তমান বিজেপি জাতীয় সভাপতি হলেন জেপি নাড্ডা, যিনি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর প্রথম বারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরও দু'টি মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে। প্রথমটি ছিল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কারণে এবং দ্বিতীয়টি ছিল সাংগঠনিক কারণ।

মণ্ডল প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই রকম দর্শন অনুসরণ করা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে বিজেপি বয়সসীমা শিথিল করেছে। ৪০ বছরের বয়সসীমা কমিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের নেতাদের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জেলা ও রাজ্য প্রধানদের জন্য, প্রার্থীকে কমপক্ষে দশ বছর ধরে বিজেপির সক্রিয় সদস্য হতে হবে। এরকম নিয়ম কারণ অন্যান্য দল থেকে আসা নেতারা সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার জেরে বিজেপির কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তবে, কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে।

আরও পড়ুন- কুকুরের কামাল, চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতল পথকুকুর! টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল ৩০০ মিটার দূরে, দেখুন সেই ভিডিও...