আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'ভোট চুরি'র অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। তার জবাবে কংগ্রেস সাংসদকে সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন। এই সময়কালে লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে 'ভোট চুরি'র প্রমাণ পেশ করতে হবে কমিশনের কাছে। না হলে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। আর রাহুলের সব অভিযোগ 'ভিত্তিহীন' বলে গন্য করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার।
রবিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। সেখানেই তিনি বলেন, "শপথপত্র দিতে হবে অথবা দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এর বাইরে কোনও তৃতীয় পথ নেই। সাত দিনের মধ্যে শপথপত্র না এলে তার মানে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।"
রাহুল গান্ধীর অভিযোগ আসলে 'সংবিধান অবমাননা' বলে সাফ জানিয়েছে কমিশন। ‘ভোট চুরি’র মতো শব্দ ব্যবহার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে হেয় প্রতিপন্ন করে বলেও জানানো হয়েছে। মুখ্য নির্বাচ কমিশনারের কথায়, রাজনৈতিক দলগুলি অনেক সময় নিজেদের স্বার্থে কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে ভোটারদের টার্গেট করে।
এই প্রেক্ষিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের বক্তব্য, "ভারতের ভোটারদের টার্গেট করে যখন রাজনীতি করা হয়, তখন কমিশন স্পষ্ট জানাতে চায়, দরিদ্র, ধনী, প্রবীণ, মহিলা, যুবক, সমস্ত ধর্ম ও সম্প্রদায়ের ভোটারের পাশে কমিশন সব সময়ে ছিল এবং থাকবে। মিথ্যা অভিযোগে কমিশন বা ভোটাররা ভয় পায় না।"
কমিশনের দাবি, কিছু ভোটার দ্বিগুণ ভোট দেওয়ার আশঙ্কার কথা তুললেও কোনও প্রমাণ জমা পড়েনি।
কী বলেছিলেন রাহুল গান্ধী?
দিন কয়েক আগে বিহারের সাসারামে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’র সূচনায় সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, কমিশন তাঁকে বেছে টার্গেট করছে। বলেন "আমি যখন ভোট চুরির অভিযোগ তুললাম, তখন আমাকে শপথপত্র দিতে বলল কমিশন। কিন্তু বিজেপি নেতারা যে দিন কয়েক আগে সাংবাদিক বৈঠক করে একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন, তখন তাঁদের কাছে কোনও শপথপত্র চাওয়া হয়নি।" তাঁর প্রশ্ন, "কমিশন তাঁকে বলছে প্রমাণ দিতে, অথচ এই তথ্য তো কমিশনের কাছেই আছে। আমার কাছে কেন শপথপত্র চাইছে?"
ভোট অনিয়মের অভিযোগকে সামনে রেখে রবিবার বিহারে কংগ্রেস ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ শুরু করেছে । বিহারের ভোটমুখী আবহে এই যাত্রা ২০টিরও বেশি জেলায় ঘুরবে।
