আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুনিয়ায় কত রকমের মানুষ। কেউ কথা বলেন খুব বেশি। কেউ যেখানেই যান না কেন, তড়িঘড়ি সহজ হয়ে যান। কেউ আবার একেবারে উলটো, কথা কম-গম্ভীর। তাই বলে যে ঘটনা সামনে এসেছে, তাতে এক প্রকার হতভম্ব সকলে। ঘটনা কী?
জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তি, প্রায় দু’ দশক, অর্থাৎ কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে নাকি কথাই বলেননি স্ত্রীর সঙ্গে। জাপানি ওই ব্যক্তির নীরবতায় চমকে গিয়েছে বিশ্ব। ব্যক্তির নাম ওটো কাতায়ামা। একই বাড়িতে থাকতেন স্ত্রীর সঙ্গে। খেতেন, ঘুমোতেন। যৌনতায় লিপ্ত হতেন। এই সময়ের মধ্যেই তাঁদের তৃতীয় সন্তানের জন্ম হয়েছে। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে একটিও কথা বলেননি তিনি দীর্ঘকালে। কোনও প্রত্যুত্তরে কেবল মাথা নাড়িয়ে, অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নিজের বক্তব্য জানাতেন। স্ত্রী অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সফল হননি স্বামীকে কথা বলাতে।
কিন্তু কারণ কী? শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়া, কোনও মানুষ কেন এই পথ বেছে নেবেন? ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি পোস্ট থেকে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ১৯৯৭ সালে, একটি সাধারণ তর্ক-বিতর্কের পর, ওটু নামে একজন জাপানি ব্যক্তি তার স্ত্রী ইউমির সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন। ২০ বছর ধরে তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন, তিনটি সন্তানকে বড় করেছেন, মুখ বন্ধ রেখে।
দম্পতির আরও ভাল করে বলতে গেলে ওই ব্যক্তির কথা সামনে আসে, যখন তাঁর ১৮ বছর বয়সী সন্তান, যা তাঁর বাবাকে মায়ের সঙ্গে একটিও কথা বলতে শোনেননি কখনও, তিনি একটি টিভি অনুষ্ঠানে এই কাহিনি ভাগ করে নেন। আশা ছিল তাতে হয়তো বাবা আবার মায়ের সঙ্গে কথা বলা শুরু করবেন। ওই অনুষ্ঠানেই দম্পতিকে একটি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই জানা যায় আসল সত্য। ওই পোস্টেই দাবি করা হয়েছে, ব্যক্তি দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে স্বীকার করেছেন, স্ত্রী তাঁদের সন্তানদের নিয়ে এত বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ছিলেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, তাঁদের নিজেদের সময় বলে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকছিল না তাই ঈর্ষান্বিত হয়ে তিনি একটি সামান্য তর্ক-বিতর্কের পর কথা বলাই বন্ধ করে দেন স্ত্রীর সঙ্গে। মনে হয়, তাঁর গুরুত্ব কমে গিয়েছে। একদিন, দু’ দিন। চুপ করে থাকাই এক সময়ে তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। তারপরে, আর দীর্ঘ সময়ে তিনি আর কখনওই কথা বলেননি।
