আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবার রেলওয়ে এফসির রিমোট কন্ট্রোল হাতে দেখা যাবে মেহতাব হোসেনকে। অতীতে সাদার্ন সমিটির টিডি হিসেবে কাজ করেছেন মাঝমাঠের ব্রিগেডিয়ার। এবার হেড কোচ হিসেবে দেখা যাবে তাঁকে। 

মেহতাব শব্দের অর্থ চাঁদ। বল পায়ে তিনি মাঠে ছড়িয়ে দিতেন চাঁদের স্নিগ্ধ আলো। মেহতাব মানে লড়াই। সেই মেহতাব এবার রেলওয়ে এফসি-র ছেলেদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান লড়াইয়ের মন্ত্র। তাঁর মন্ত্রে কি চাঁদের আলো ছড়াবেন রেলের ফুটবলাররা? 

চলতি কলকাতা লিগে ভাল ছন্দে নেই রেলওয়ে এফসি। ৬ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট। মেহতাব বলছেন, ''ফুটবল জীবনে চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলেছি। লড়াই করেছি। কোচিং জীবনেও সেই চ্যালেঞ্জটাই নিলাম।'' 

আরও পড়ুন:  ম্যাঞ্চেস্টারে শেষদিকে ঠিক কী হয়েছিল? নতুন ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ফাঁস সত্য

খেলোয়াড় জীবনে দুই প্রধানে খেলেছেন মেহতবা। মোহনবাগানে ২৩ নম্বর জার্সি। ইস্টবেঙ্গলে ১৪ নম্বর জার্সির মালিক ছিলেন তিনি। ফুটবলজীবন শেষ করেছেন সবুজ-মেরুনে খেলে। 

সাহেব কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের তুরুপের তাস ছিলেন মেহতাব। মর্গ্যান জমানায় ইস্টবেঙ্গলে যেন নবজন্ম পেয়েছিলেন তিনি। 

বহু যুদ্ধের সৈনিক মেহতাব বলছেন, ''সব কাজেই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক থাকে। মানুষ সব কিছু থেকে শিক্ষা নেয়। কোচিং থেকেও আমি শিক্ষা নেব। অভিজ্ঞতা অর্জন করবো। রেলের হয়ে কিংবদন্তিরা খেলেছেন। সেখানে আমি কোচিং করতে পারছি। আমি নিজেকে দারুণ ভাগ্যবান বলে মনে করি।'' 

সোমবার থেকেই দলের হাল ধরেছেন মেহতাব। তাঁর আগমন রেলওয়ে এফসি-র ফুটবলারদের উজ্জ্বীবিত করবে বলেই মনে করে ফুটবল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহল। 

ফুটবলার জীবনে মেহতাব খেলেছেন একেকটা অবিশ্বাস্য ম্যাচ। গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে মাঝমাঠে ঘাম ঝরান। কোভারম্যান্স জমানায় ভারত নেহরু কাপ জিতেছিল। সেই দলের সদস্য ছিলেন মেহতাব। 

পরবর্তীকালে আইএসএলের পৃথিবীতেও মেহতাব আলো ছড়িয়ে গিয়েছেন। কেরল ব্লাস্টার্স, জামশেদপুরের জার্সিতে খেলেছেন তিনি। 

ফুটবলার হিসেবে তিনি ছিলেন অকুতোভয়। ভয়ডরহীন ফুটবল খেলতেন। লাল-হলুদ জার্সিতে দুই স্টপারের একটু উপরে পেন্ডুলামের মতো দুলতেন তিনি। তার পর দুই প্রান্তে বল ভাসাতেন। 
এ তো গেল তাঁর খেলোয়াড়জীবনের কথা। এবার লড়াকু ফুটবলারের জীবনের অন্য ইনিংস শুরু হতে চলেছে। মেহতাব আগের মতোই আত্মবিশ্বাসী। মেহতাব-ছোঁয়ায় বদলে যাবে রেলওয়ে এফসি, এখন থেকেই আশায় ফুটবলপ্রেমীরা। 

আরও পড়ুন: ৬৪ খোপের এমএস ধোনি, ভারতের নয়া গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যাকে কী বললেন শচীন তেন্ডুলকার?