আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ গোটা বিশ্ব যেন অশান্ত। যুদ্ধ পরিস্থিতি লেগেই রয়েছে। মাসখানেক আগেই ইজরায়েল–প্যালেস্টাইনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আপাতত তা কিছুটা ঠান্ডা। কিন্তু এর মধ্যেই নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠল থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্ত। 


বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে কম্বোডিয়ার অন্তত দুটি সেনা ছাউনিতে। থাইল্যান্ড সেনার তরফেই এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

 


থাই সেনাবাহিনীর তরফে রিচা সুকসুওয়ানন জানিয়েছেন, ৬টি যুদ্ধবিমান উবন র‌্যাচাথানি প্রদেশ থেকে রওনা দিয়ে নিজ নিজ লক্ষ্যে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। তার জেরেই এই এয়ার স্ট্রাইক বলে মনে করা হচ্ছে। এয়ার স্ট্রাইকে এখনও অবধি এক জন কম্বোডিয়ার নাগরিক মারা গেছেন বলে জানা গেছে। 

 

আরও পড়ুন:‌ গাজায় ইজরায়েলের গণহত্যা ২২ মাসে পেরিয়ে, প্যালেস্টাইনে নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৫৯,১০৬...

এদিকে গত বুধবারই সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বিল্ডিংয়ে আকাশ পথে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। আতঙ্কে স্টুডিও ছেড়ে পালিয়ে যান সঞ্চালিকা। 

অভিযোগ ছিল, সিরিয়ার দক্ষিণের সোয়েদা শহরে দ্রুজ নামের একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে সেদেশের সরকার। নামানো হয়েছে বাহিনী। গোটা শহরজুড়ে কার্যত তাণ্ডব চালায় সিরিয়ার বাহিনী। পাল্টা প্রতিরোধের চেষ্টা করছিল দ্রুজরাও। এমনই দাবি করে দ্রুজদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করে ইজরায়েল। একের পর এক এয়ার স্ট্রাইক চালানো হয় দামাস্কাসে। 

সরকারি টিভি চ্যানেলের অফিসে হামলার ছবি প্রকাশ করেছিলেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাৎজ। 

ইজরায়েল কাৎজ বলেছিলেন, ‘‌প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা সেই কথা রাখব। জবাব দেব দ্রুত।’‌ তবে এখনও সে জবাব দেখা যায়নি।

 

এদিকে, ইজরায়েল প্রায় ২২ মাস ধরে যেভাবে গাজা উপত্যকার ওপর গণহত্যামূলক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, তা আধুনিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। নির্বিচার বিমান হামলা, অনাহারে মারার কৌশল, ও সাহায্যপ্রার্থীদের উপর গুলি বর্ষণের মাধ্যমে গাজার প্রতিটি কোণ আজ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই বর্বর আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৯,১০৬ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি। 

সোমবার, ২১ জুলাই, ইজরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজা শহরের একটি কিন্ডারগার্টেনে বোমা ফেলে। একাধিক শিশু আহত হয়, ভিডিওতে দেখা যায়, ভীতসন্ত্রস্ত শিশুদের কোলে তুলে নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই দিনই আরও একাধিক “নিরাপদ অঞ্চল”, যেমন দেইর আল-বালাহ, নুসাইরাত শরণার্থী শিবির, ওয়াদি গাজা, খান ইউনুস এবং জাবালিয়ার মত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিকে লক্ষ্য করে চালানো হয় প্রচণ্ড বোমাবর্ষণ। তাতে বহু মানুষ নিহত ও আহত হন।

সোমবারের আরেকটি বর্বর অভিযানে, ইজরায়েলি বিশেষ বাহিনী রেড ক্রস হাসপাতালের আশেপাশে একাধিক প্যালেস্টাইনিকে গুলি করে হত্যা করে। এই হামলায় সাংবাদিক তামের আল-জানিন নিহত হন এবং তাঁর সহকর্মী ইব্রাহিম আবু আশিবা গুরুতর জখম হন। অপহরণ করা হয় গাজার ফিল্ড হাসপাতালের পরিচালক ও আবু ইউসুফ আল-নাজ্জার হাসপাতালের প্রধান ডা. মারওয়ান আল-হামসকে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের চরম লঙ্ঘন এবং একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধাপরাধ বলে নিন্দা জানিয়েছে।

?ref_src=twsrc%5Etfw">July 24, 2025