আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আই এম ডি) জানিয়েছে, আগামী তিন-চার দিন ধরে ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা। জম্মু ও কাশ্মীর (জে এন্ড কে), হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং সংলগ্ন উত্তরাঞ্চলীয় সমভূমিতে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে খবর। পাশপাশি হিমাচল প্রদেশ এবং পাঞ্জাবের জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসের ২৩ থেকে ২৭ জুলাই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডেও ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে ভারতের বেশ কিছু জায়গায় ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ এর মধ্যে কেরালা, কর্ণাটক, উপকূলীয় অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কোঙ্কন, গোয়া, মধ্য মহারাষ্ট্র, বিদর্ভ এবং ছত্তিশগড়ে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে মৌসুমি বায়ুর পশ্চিম প্রান্ত তার স্বাভাবিক অবস্থানের উত্তর দিকে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর পূর্ব প্রান্তটি গড় সমুদ্রপৃষ্ঠে স্বাভাবিক অবস্থানের কাছাকাছি ছিল। জানা গিয়েছে, পশ্চিম রাজস্থান এবং সংলগ্ন পাকিস্তানের উপর একটি উচ্চ বায়ু ঘূর্ণিঝড় নিম্ন ট্রপোস্ফিয়ারিক স্তর অবস্থান করছিল। তথ্য অনুযায়ী উচ্চতার সঙ্গে দক্ষিণ দিকে হেলে ছিল এটি। দক্ষিণ ওড়িশা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের উপর একটি উচ্চ বায়ু ঘূর্ণিঝড় নিম্ন এবং মধ্য ট্রপোস্ফিয়ারিক স্তর অবস্থান করছিল। এটি উচ্চতার সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে হেলে ছিল।
উত্তর-মধ্য কর্ণাটক থেকে দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যন্ত একটি পূর্ব-পশ্চিম ট্রপোস্ফিয়ারিক স্তর অবস্থান করছে। তথ্য অনুযায়ী, উত্তর-পূর্ব আসাম এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে নিম্ন ট্রপোস্ফিয়ারিক স্তরে একটি উচ্চ বায়ু ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ২৪শে জুলাইয়ের দিকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে ২০ জুন থেকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে মোট ৯৮ জন দু্র্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন। ৫৭ জন বৃষ্টিপাতজনিত ঘটনায় এবং ৪১ জন সড়ক দুর্ঘটনায়। আরও ১৭৮ জন আহত হয়েছেন। বর্ষায় ৩৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। হিমাচল প্রদেশে এখনও পর্যন্ত ৩১টি আকস্মিক বন্যা, ২২টি ক্লাউডবার্স্ট এবং ১৮টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুনঃ 'ভালোবাসতাম বলে মারতাম', বিদেশের মাটিতে কেরালার যুবতী খুন, স্বামীর চাঞ্চল্যকর স্বীকারক্তি
অন্যদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা থেকে সিরমৌর জেলার রাজগড়ে ৭২ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। খাদ্রালা (৪২.৪ মিমি), পাছাদ (৩৮ মিমি), মান্ডি (২৬.৪ মিমি), ভুন্টার (২২ মিমি), শিলারু (১৪.২ মিমি), সেওবাগ (১২.২ মিমি), শিমলা (১১.৫ মিমি) এবং রোহরু (১০ মিমি)।
৩০ জুন থেকে ১ জুলাই রাতে মান্ডি জেলায় দশটি মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসের ফলে ধ্বংসযজ্ঞের পর নিখোঁজ হন ২৭ জন। খুঁজে বের করার জন্য অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
