আজকাল ওয়েবডেস্কঃ আজকাল স্ন্যাকস হিসাবে তেল-ঝাল-মশলাযুক্ত খাবারের বদলে ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া পছন্দ করেন বেশিরভাগ মানু৷ আমন্ড, কাজু, মাখানা, কিশমিশ, খেজুর, আখরোট পছন্দের তালিকা কী নেই! পুষ্টিগুণে ভরপুর ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু ঘুরতে ফিরতে মুঠো মুঠো ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া কি আদৌ ভাল? দিনের ঠিক কোন সময়ে শুকনো ফল খাওয়া উচিত, জেনে নিন।
যদিও ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার কোনও ভাল অথবা খারাপ সময় নেই। তবে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। অনেকেই সকালে ভিজিয়ে রাখা আমন্ড ও আখরোট খান। বিশেষজ্ঞদের মতে, খিদে পেলে কিংবা এনার্জি কম থাকলেও স্ন্যাকস হিসাবে এক মুঠো শুকনো ফল খেতে পারেন। কিছু ড্রাই ফ্রুটস যেমন সকালে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। আবার কয়েকটি দুপুরের আগে অর্থাৎ মিড মর্নিং স্ন্যাকস হিসাবে এবং সন্ধেবেলাও খেতে পারেন। কোন সময়ে কোন ড্রাই ফ্রুটস খাবেন-
আরও পড়ুনঃ কম খেয়েও বাড়ছে ওজন? এই কটি অভ্যাস না বদলালে স্লিম-ফিট হওয়ার স্বপ্ন থাকবে অধরা
* ড্রাই ফ্রুটসের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স বেশি। তাই শরীরচর্চার পর খেলে এর প্রাকৃতিক সুগার ও ফ্যাট শরীরের কাজে লাগে। আর যাঁরা তুলনামূলক কম সক্রিয়, তাঁদের জন্য সকালে বা ব্যায়ামের আগে পরিমাণে অল্প খাওয়াই ভাল।
* যে সকল মহিলাদের পিরিয়ডে খুব বেশি রক্তপাত হয়, তাঁদের জন্য সকালে ভেজানো কিশমিশ উপকারী। কারণ এতে প্রচুর আয়রন থাকে। পিএমএস-এর যন্ত্রণায় ভুগলে ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ কুমড়োর বীজ, বাদাম বা আখরোট রাতের স্যুপে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
* সকালে কাজু, আখরোট আর বাদাম খেলে সারা দিনের এনার্জি পাওয়া যায়। ব্যায়ামের আগে খেজুর-পেস্তা, এপ্রিকট খেলে চটজলদি এনার্জি পাবেন। কাজু আর কিশমিশ দুপুরের দিকে খেতে পারেন।
* ওজন কমাতে হলে সকালে খালি পেটে আমন্ড, আখরোট, ভেজানো কিশমিশ খাওয়া উপকারী। দিনের বেলা মাঝে মাঝে অল্প পরিমাণে আমন্ড বা পিনাট বাটার খেতে পারেন। এতে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে, দীর্ঘক্ষণ খিদে পাওয়ার সমস্যা. ভুগবেন না।
* সকালে কিশমিশ ও বাদামের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে হজম ভাল হয় এবং পেট পরিষ্কার থাকে। সন্ধ্যায় ভেজানো এপ্রিকট খেতে পারেন।
* রাতে ড্রাই ফ্রুট খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। আসলে ড্রাই ফ্রুটে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, তাই তার হজম হয় ধীরগতিতে। ফলে রাতে ড্রাই ফ্রুট খেলে তা সঠিকভাবে হজমে নাও হতে পারে এবং পেট সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি করতে পারে।

একইসঙ্গে সঠিক পরিমাণে ড্রাই ফ্রুটস খাওয়াও জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রোজ শরীরে যতটা পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন হয়, তা শুধুমাত্র কাঠবাদাম খেলেই তা পূরণ হয়ে যেতে পারে, বজায় থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। প্রতিদিন ১৪-১৫টা কাঠবাদাম খেতে পারেন। অ্যানাকার্ডিক অ্যাসিড রয়েছে কাজুবাদামে যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও দাঁতের এবং মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল রাখে কাজুবাদাম। সারাদিনে ১০টার বেশি কাজুবাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন বি৬ এবং থায়ামিনের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে পেস্তা বাদামে। সারাদিনে কুড়িটা পেস্তাবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর আখরোট হার্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারাদিনে চারটের বেশি আখরোট খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়।
