আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডেটিং অ্যাপে এই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল প্রৌঢ়ার। কথোপকথনের সময়েই পরিবারের একটি ছবি দেখিয়েছিলেন যুবক। সেই ছবিতে ছিলেন তাঁর ভাইও। দাদার সঙ্গে চ্যাটিং করার সময়েই ছবি দেখে তাঁর ভাইয়ের প্রেমে পড়েন ওই প্রৌঢ়া।
শুধু তাইই নয়। ওই যুবকের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে যান তাঁর দেশে। অল্প দিনের প্রেমের পরেই, যুবককে বিয়েও করেন তিনি। শেষমেশ যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই প্রৌঢ়া। দিদিমার এহেন কীর্তিতে রীতিমতো হতবাক তাঁর সন্তান ও নাতি-নাতনিরা। বিষয়টি আর লুকোনো যায়নি। সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ায়। গোল্ড কোস্টের বাসিন্দা অ্যাঞ্জেলা পিটার্স। ১৯ বছরে তিনি সিঙ্গেল মাদার ছিলেন। বিয়ে না করেই, একটি সন্তান দত্তক নিয়েছিলেন। ৫০ বছরে নতুন করে তাঁর জীবনের আরও এক অধ্যায় শুরু হয়েছে। দ্বিতীয়বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই বিয়ের পর যমজ সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
আরও পড়ুন: কী ঠান্ডা! মন্দিরে ঠাকুরের গয়না চুরি করেও পালাল না চোর, মেঝেতে শুয়ে নাক ডেকে ঘুম, তারপর?
মাত্র ১৯ বছর বয়সে সন্তান দত্তক নিয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলা। এরপর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। দুই সন্তানকে কোলে নিয়ে প্রথমবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এরপর আরও তিন সন্তানের জন্ম দেন। ৫০ বছরের মধ্যে তাঁর পাঁচ সন্তানের পরিবারও বেড়ে যায়। অ্যাঞ্জেলাও ১২ জন নাতি-নাতনির দিদিমা হয়ে ওঠেন।
৫১ বছর বয়সে অ্যাঞ্জেলার জীবনে নতুন মোড় আসে। সংসারে সুখী ছিলেন না। শেষমেশ বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন। ডিভোর্সের পরেই তাঁর জীবনের আরও এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়। ২০২০ সালে ডেটিং অ্যাপে ৪৭ বছরের এলেকার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। নাইজেরিয়ান যুবক এলেকা সেনেগালের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলতেই ভাইয়ের প্রেমে পড়েন অ্যাঞ্জেলা।
৩৪ বছরের যুবক ব্রাইট নাইজেরিয়ার বাসিন্দা। বয়সে ১৭ বছরের ছোট যুবকের প্রেমে হাবুডুবু খেতে খেতে ৯ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে নাইজেরিয়ায় পৌঁছন অ্যাঞ্জেলা। সেখানে পৌঁছে ব্রাইটের সঙ্গে আলাপ হয়। অল্পদিনের মধ্যেই তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। নয় মাস ব্রাইটের ছিলেন অ্যাঞ্জেলা। এরপর তাঁর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
ব্রাইটের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অ্যাঞ্জেলা। বিয়ের আয়োজন ছিল ছিমছাম। বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাঁচ সন্তান ও ১২ নাতি-নাতনি। দিদিমার এহেন কীর্তি প্রথমে তাঁরাও তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন। কিন্তু দিন কয়েক পরেই ব্রাইটের সঙ্গে তাঁদের বন্ধুত্ব হয়ে যায়। সম্পর্কটিও সহজ হয়ে যায়।
৫৪ বছর বয়সে আইভিএফ পদ্ধতিতে ফের দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর তাঁর সন্তানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়াতেও হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই অ্যাঞ্জেলাকে সাহসী বলে উৎসাহিত করেছেন। নেটিজেনদের মতে, বিয়ে, সন্তান, সম্পর্ক নিয়ে সমাজের সমস্ত বেড়াজাল ভেঙে নিজের শর্তে বেঁচে থাকার এক নির্দেশন হল অ্যাঞ্জেলা। মনে জোর থাকলেই, বয়সের কথা মাথায় না রেখে এভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব বলে লিখেছেন তাঁরা।
