আজকাল ওয়েবডেস্ক:  ভারতবর্ষ মানেই হল ঐতিহ্য এবং বিস্ময়ের দেশ। এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে কত ইতিহাস। এবার তেমনই এক ইতিহাসের তথ্য উঠে এল গবেষকদের হাতে। গুজরাটের মাটি থেকে পাওয়া গেল বিরাট আকারের সাপের ফসিল। এর ফসিলের দৈর্ঘ্য দেখে অবাক হয়েছেন ভারতীয় গবেষকরা।


গবেষকরা মনে করছেন এটি বাসুকি সাপের ফসিল। কচ্ছের একটি খনির কাছে এটি মাটির নিচে ছিল। এই ফসিলটি পাওয়া গিয়েছিল ২০০৫ সালে। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২৭ টি ভিন্ন ধারার ফসিল। এগুলি সবই একটি পাথরের তলায় রাখা ছিল। 


তবে এটি কোন প্রাণীর ফসিল তা প্রমাণ করতে সময় লেগে গেল প্রায় ২০ বছর। বিজ্ঞানীরা এবং আইআইটি গবেষকরা দীর্ঘসময় ধরে একে বিশ্লেষণ করেন। তারপর তারা সিদ্ধান্ত নেন এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম সাপ বাসুকির অংশ। এটি লম্বায় প্রায় ৩৬ থেকে ৫০ ফুট। ওজনের দিক থেকে হিসেব করলে দেখা যাবে এটি প্রায় এক মেট্রিক টন।


বাসুকির এই ফসিল হাতে আসার পর অনেক পুরনো দিনের ইতিহাস সামনে চলে আসবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এটি অতি ধীরগতিতে চলাচল করত ফলে যখন বিরাট পাথরটি এর ওপরে পড়ে তখন সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি। সেখানেই ফসিল হয়েছে।


এই সাপের আকার দেখলে বোঝা যায় এটি ক্যাটফিস, কচ্ছপ, কুমিরকেও অতি সহজে গিলে নিতে পারত। পাশাপাশি প্রচীন যুগের তিমিকেও গিলে নেওয়ার মতো পেট ছিল এর কাছে। এর হজমশক্তি এতটাই ভাল ছিল যে সেখান থেকে বাকি প্রাণীরা একে ভয় পেত।


এই আবিষ্কার পৃথিবীর প্রথম যুগের পরিবেশকে সামনে তুলে ধরেছে। এর আকার দেখে বোঝা যেত এই সাপটি অতিরিক্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারত। তবে বিবর্তনের কালে কীভাবে হারিয়ে গিয়েছে তা এবার গবেষণার বিষয়। 


তবে ভারতের মাটি থেকে যেভাবে এই সাপের ফসিল মিলেছে তা থেকে এটা স্পষ্ট যে এরা ভারতের মাটিতে বাস করত। ফলে পুরানের ইতিহাসে যে কথা লেখা রয়েছে সেটা সত্যি হলেও হতে পারে।