সোমবার ০৫ মে ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
Riya Patra | ০৯ জুন ২০২৪ ২৩ : ৩৭Riya Patra
মিল্টন সেন,হুগলি: ওরা নিশাচর। তাই সন্ধের আজানের পর ঝাঁকে ঝাঁকে বেরিয়ে পড়ে খাবারের সন্ধানে। আবার ভোরের আজান যখন চলে তখন আবার ফিরে আসে গাছে। সংখ্যার ওরা হাজার হাজার হলেও গ্রামের সকলের কাছেই ওরা খুব আদরের। কিচির মিচির শব্দে সদা মুখরিত পান্ডুয়ার ইলছোবা দাসপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রামনাথপুর গ্রাম। গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় রয়েছে বহু প্রাচীন একটি বটগাছ। আর সেই গাছেই বাস হাজার হাজার বাদুড়ের। দিনের আলোয় পরিষ্কার দেখা যায় গাছের প্রতিটি ডালে ঝুলে রয়েছে অসংখ্য বাদুড়। আর দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে টানা ওই গাছে থাকতে থাকতে তারাও অজান্তে গ্রামের প্রতিবেশী হয়ে উঠেছে। গ্রামবাসীদের কাছে ওরা এখন খুবই আদরের। আর ওদের দৌরাত্ম্যে দুর দূরান্তে ছড়িয়েছে রামনাথপুর গ্রামের নাম। প্রতিদিন সন্ধেয় অসংখ্য বাদুড়ের যাতায়াতের ফলে অবর্ণনীয় এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে, আকাশে উড়ে বেড়ায় বাদুরের দল। আর গোধূলি সন্ধ্যায় রক্তিম আকাশে শত শত বাদুড়ের ডানা মেলার অপার সৌন্দর্য উপভোগ করেন গ্রামের বাসিন্দারা। মনোরম এই দৃশ্য উপভোগ করতে দুর দূরান্ত থেকে রামনাথ পুড়ে ছুটে আসেন প্রকৃতি প্রেমীরা। আগে বাদুড়ের বাস ছিল গ্রামের অদূরে একটি তেঁতুল গাছে। পরবর্তী সময়ে ওই তেতুল গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় রামনাথপুর গ্রামের বটগাছে আশ্রয় নেয়। গ্রামের বাসিন্দাদের মতে, ওরা নিশাচর হলেও, গ্রামের মানুষের কাছে ওরা খুব আদরের। ওরা কাউকে বিরক্ত করেনা। ওদের চালচলন আওয়াজ গ্রামের মানুষের মনোরঞ্জন করে। তবে ঠিক কত বছর ধরে ওই গাছে বাদুড়ের বাস, সেটা কেউ বলতে পারেননি। গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার আলী বলছেন, আগে গ্রামেরই পুরনো গাছ ওদের অস্থানা ছিলো। সেই গাছ ভেঙে যাওয়ার পর বর্তমানে বটগাছে থাকে। সন্ধের আজান হলেই ডানা মেলে উড়ে যায়। আবার ভোরের আজানের সময় গাছে ফিরে আসে। কয়েক বছর ধরে তাঁরা এভাবেই দেখে আসছেন।
আনুমানিক একশ বছরের বেশি সময় ধরে ওই গ্রামে বাদুড়ের বাস জানিয়েছেন, স্থানীয় আকবর আলী। তিনি বলেছেন, এটা গ্রামের একটা প্রাচীন ঐতিহ্য। গ্রামবাসীদের সঙ্গে যুগ যুগ ধরে রয়েছে। ৩০-৩৫ বছর আগে বাদুড়ের সংখ্যা আরও বেশি ছিল। কেউ বাদুড় শিকারের চেষ্টা করল গ্রামবাসীরা বাধা দেয়। তবে কোনও অজ্ঞাত কারণে সংখ্যা কমেছে। তিনি মনে করেন, সরকারি উদ্যোগে ওই নিশাচর প্রাণী গুলির সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে ভাল হয়।
নানান খবর

নানান খবর

মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফর শুরুর আগে বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার মাঠে বসানো হলো সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক

মাধ্যমিক শুরুর আগে পিতৃহারা, ৬৩৭ নম্বর পেয়েও বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে অর্থনৈতিক বাধার সম্মুখীন হাওড়ার স্নেহা

১৯৮০ সালে টুরিস্ট ভিসায় পাকিস্তান থেকে ভারতে, ৪৫ বছর ধরে ভোট দিচ্ছেন চন্দননগরের ফতেমা বিবি

ভারতে আটক পাক রেঞ্জার, তবে কি এবার মুক্তি মিলবে? আশার আলো দেখছেন পূর্ণমের স্ত্রী

ভয়াবহ দুর্ঘটনা, আর তাতেই প্রকাশ্যে এল গরু পাচারের নয়া রুট! লালবাগ-সাহাপুর ঘাটে চাঞ্চল্য

সামশেরগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পাশে দাঁড়ালেন পুলিশকর্তারা, সাসপেন্ড দুই পুলিশ আধিকারিক

তুফানগঞ্জে দিনেদুপুরে অপহরণ, ৬ লক্ষ টাকা সহ এক ব্যক্তিকে নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের

টুরিস্ট ভিসায় এসে আর ফেরা হল না, চন্দননগরে গ্রেপ্তার পাকিস্তানি নাগরিক

মাধ্যমিকে ভাল ফল বক্সিরহাটের রাজমিস্ত্রী পরিবারের বিকাশের, উচ্চ মাধ্যমিকে আর্থিক সহায়তা চায় তার পরিবার

দুষ্প্রাপ্য ব্রুনাই কিং আম পান্ডুয়ায়! শিক্ষকের ফলের বাগান দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে

বিদ্যালয়ে প্রথম, জেলায় ছাত্রীদের মধ্যে সেরা, তবু মেধাবী থৈবির জন্য কাঁদছে স্কুল ও পরিবার

সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের জের, শহর কলকাতার এই রেস্তোরাঁগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দিল পুরসভা

গঙ্গার ইলিশের সঙ্গে এবার বাঙালির পাতে পড়তে চলেছে গঙ্গার গলদা চিংড়ি

ভাল রেজাল্ট হবে তো? ফল প্রকাশের কিছুক্ষণ আগেই চরম সিদ্ধান্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর

স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পালন চন্দননগরে, শহরকে হেরিটেজ ঘোষণার উঠল দাবি