আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট অনেকটাই বাড়িয়ে নিল টিম ইন্ডিয়া। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোয়াইটওয়াশের পর ঘরের মাঠে ফের একবার নিজেদের আধিপত্যের প্রমাণ দিল ভারতীয় ক্রিকেট দল।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল শুভমান গিলের নেতৃত্বাধীন ভারত। দিল্লি টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রত্যাশার চেয়ে অনেকটাই বেশি লড়াই দেখিয়েছিল। এমনকি, শাই হোপ এবং জন ক্যাম্পবেলের লড়াইয়ের সৌজন্যে দ্বিতীয় টেস্ট পঞ্চম দিন পর্যন্ত গড়ায়।
শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি ফোটে ভারতের মুখেই। সিরিজ জিতে ভারত অর্জন করেছে চলতি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের আরও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এই জয়ের ফলে ভারতের মোট পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২, এবং তাদের পিসিটি (Points Collected Percentage) হয়েছে ৬১.৯০%। তবে এই সাফল্য সত্ত্বেও, ভারতের অবস্থানে কোনও পরিবর্তন আসেনি।
তারা এখনও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানেই রয়েছে। বর্তমানে তালিকার শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যারা ২০২৫-২৭ চক্রে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ জিতে ১০০ শতাংশ পিসিটি ধরে রেখেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, এক জয় ও এক পরাজয়ে তাদের পিসিটি ৬৬.৬৭%। ভারতের নিচে রয়েছে ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তাদের পিসিটি যথাক্রমে ৪৩.৩৩%, ১৬.৬৭% ও ০.০০%। দিল্লিতে ফলো অন কাজ না করলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া টার্গেট তুলে দিয়ে সিরিজ জিতে ২-০ জিতে নিল ভারত। সাত উইকেট বাকি থাকতেই অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টেস্টের পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনে জয় তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়া। ওপেনে নেমে অপরাজিত থাকেন কেএল রাহুল।
গোটা সিরিজ জুড়েই ভারতীয় ব্যাটাররা আধিপত্য দেখিয়েছেন। দিল্লি টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত লড়াই করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু হোপ এবং ক্যাম্পবেল ফেরার পর আর কেউ সেভাবে বড় রান পাননি। পঞ্চম দিনে ভারতের জিততে দরকার ছিল ৫৮ রান। হাতে ছিল ন’উইকেট। ক্রিজে ছিলেন সাই সুদর্শন এবং রাহুল।
দু’জনেই শুরু থেকে আক্রমণ করে খেলছিলেন। সুদর্শন আউট হন ৩৯ রান করে। চার নম্বরে নেমে শুভমান চালিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হন ১৩ রান করে। তবে এদিন ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ধ্রুব জুড়েল অপরাজিত থাকেন ৬ রানে। প্রসঙ্গত, চতুর্থ দিন ক্যারিবিয়ানদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ৩৯০ রানে।
তারা এগিয়ে ছিল ১২০ রানে। জন ক্যাম্পবেলের (১১৫) পর শতরান করেন শাই হোপও (১০৩)। অধিনায়ক রস্টন চেজের অবদান ৪০। ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন জাস্টিন গ্রিভস। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় ১১ নম্বরে নামা জেডন সিলস করেন ৩২। তাঁকে ফেরান বুমরা। ৩১১ রানেই নয় উইকেট পড়ে গিয়েছিল ক্যারিবিয়ানদের।
শেষ উইকেটে ৭৯ রান যোগ করেন গ্রিভস ও সিলস। প্রথম ইনিংসে না হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে কিন্তু ভারতীয় বোলিং প্রশ্নের মুখে পড়ল। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে কুলদীপ ও বুমরা পেলেন তিনটি করে উইকেট। সিরাজ পেয়েছেন দুটি। দিল্লি টেস্টে আট উইকেট হল কুলদীপের। প্রথম ইনিংসে ২৪৮ রানে শেষ হয়েছিল ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস।
তার আগে ভারত তুলেছিল ৫১৮। প্রথম ইনিংসে শতরান পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে রান পাননি যশস্বী। মাত্র ৮ রান করে ফেরেন। লোকেশ রাহুল অপরাজিত রয়েছেন ২৫ রানে। আর সাই সুদর্শন অপরাজিত ৩০ রানে। যশস্বীকে ফিরিয়েছেন ওয়ারিকান। চতুর্থ দিনের শেষে ভারতের রান ছিল এক উইকেটে ৬৩।
