আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ইন্ডিয়ান সুপার লিগের। আইএসএল অনিশ্চিত হয়ে পড়লে ভারতীয় ফুটবলও কি অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে? যদিও আইএসএল নিয়ে নানা মুণির নানা মত।
তবে পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিচ্ছে, তাতে কিন্তু আইএসএল নিয়েই তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। আইএসএলে অংশ নেওয়া একাধিক ক্লাবের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক হয়ে গিয়েছে এফএসডিএল কর্তাদের। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের আয়োজক ক্লাবগুলোকে এফএসডিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্টের ব্যাপারে পুরোদস্তুর সিদ্ধান্ত না হলে এবার আইএসএলের বলই গড়াবে না।
এআইএফএফ ও এফএসডিএলের মধ্যে যে চুক্তি তা মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্ট নামে পরিচিত। এই চুক্তি বাবদ এফএসডিএলের কাছ থেকে প্রতি বছর ৫০ কোটি টাকা পায় এআইএফএফ। এই চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বরে।
নির্ধারিত সময় ১৪ সেপ্টেম্বরে আইএসএলের বল গড়ালে তা চলবে আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত। এদিকে ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাচ্ছে এই চুক্তি। তাহলে বাকি দিন কীভাবে চলবে আইএসএল?
এফএসডিএল-এর তরফ থেকে ক্লাবগুলোকে দলগঠনের ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি নিতে বলা হয়েছে। আর মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্ট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে ১৪ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত সময়ে বল গড়াবে না ইন্ডিয়ান সুপার লিগের।
নতুন কোনও আয়োজকও এই মুহূর্তে হাতে নেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের। এই অবস্থায় ভারতীয় ফুটবল অন্ধকারে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপরে নির্ভর করে রয়েছে অনেককিছু। এর মধ্যেই এফএসডিএল মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্ট নিয়ে চাপ দিচ্ছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারশেনকে। তার চাইছে এখনই চুক্তি সেরে ফেলতে। কিন্তু উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নতুন করে চুক্তি করা সম্ভবই নয়। ১৪ জুলাইয়ের পরে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জানানো হবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সংশোধিত সংবিধান।
এই বিষয়ে পুরোদস্তুর সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত ফেডারেশনের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করা সম্ভব হবে না ফেডারেশনের পক্ষে। অর্থাৎ এই চুক্তি বিলম্বিতই হবে। কারণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে নির্বাচন করতে হবে ফেডারেশনকে। নতুন কমিটি দায়িত্ব নিতে নিতে বছর ঘোরার উপক্রম হবে। ফলে সব দিক থেকেই ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে।
