আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ পেসারদের সুস্থ রাখাই এখন টিম ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা ভেবে বুমরাকে বেছে বেছে ম্যাচ খেলানো হচ্ছে। ইংল্যান্ড সিরিজে পাঁচটির মধ্যে মাত্র তিনটি টেস্ট খেলেছেন বুমরা। ওই সফরেই চোট পেয়েছিলেন আকাশদীপও। পেসারদের এই ঘন ঘন চোট পাওয়াই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের।


একমাত্র মহম্মদ সিরাজ ছাড়া টানা পাঁচটি টেস্ট ভারতের কোনও পেসার খেলেননি। কিন্তু টানা খেলার ফলে তাঁর বলের গতিও কমে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে টিম ইন্ডিয়ার স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ আদ্রিয়ান লে রু জিম এক্সারসাইজের পরিবর্তে পেসারদের মাঠে দৌড়ের উপর জোর দিচ্ছেন। টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ গৌতম গম্ভীরও লে রু’‌র কথায় সহমত পোষণ করেছেন।


এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশ কিছু ক্রিকেটার ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুতে বিসিসিআইয়ের সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে ব্রঙ্কো টেস্ট শুরু করে দিয়েছেন। ক্রিকেটারদের দমের পরীক্ষা নেওয়া হয় এই টেস্টের মাধ্যমে। ইয়ো ইয়ো টেস্ট ও দুই কিলোমিটার দৌড়ের সঙ্গে এই টেস্টও এখন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ক্রিকেটারদের জন্য। 


ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‌সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে ব্রঙ্কো টেস্ট চালু করা হয়েছে। বেশ কিছু ক্রিকেটারের ইতিমধ্যেই এই টেস্ট হয়েছে। মূলত ফিটনেস বাড়ানোর জন্যই এই টেস্ট করা হয়। দেখা গেছে, ভারতীয় ক্রিকেটাররা বিশেষ করে পেসাররা মাঠে দৌড়নোর বদলে জিমেই কসরত করে নেন। ক্রিকেটারদের বলা হয়েছে দৌড়ের পরিমাণ আরও বাড়াতে।’‌


এর আগে সুনীল গাভাসকারের মতো প্রাক্তনরাও জিমে কসরতের চেয়ে মাঠে অনুশীলনের উপরেই বেশি জোর দিয়েছিলেন। 

 

আরও পড়ুন:‌ পিটার শিলটনের রেকর্ড ভেঙে নয়া নজির গড়লেন ব্রাজিলের এই গোলরক্ষক, জানলে চমকে যাবেন


 


জানা গেছে, এক জন ক্রীড়াবিদের ব্রঙ্কো টেস্ট পাস করতে ছয় মিনিট লাগে। যার মধ্যে রয়েছে ২০ মিটার শাটল রান। তারপর ৪০ ও ৬০ মিটার শাটল রান। এটাই বেঞ্চমার্ক এই টেস্টের। দৌড়ের মাঝে কোনও বিশ্রাম নেওয়া যাবে না। যে ৬ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে পারবে তাঁকে উত্তীর্ণ ধরা হবে।


আবার পেসারদের ক্ষেত্রে নিয়মটা অন্যরকম। ২ কিলোমিটার দৌড়তে হবে ৮ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে। ব্যাটার, উইকেটকিপার ও স্পিনারদের ক্ষেত্রে সময়টা ১৫ সেকেন্ড আরও বেশি। আর ইয়ো ইয়ো টেস্টের ন্যূনতম পাস নম্বর হচ্ছে ১৭.‌১। 

এদিকে, সূত্রের খবর ভারতের পরবর্তী ওয়ানডে অধিনায়ক হতে চলেছেন শ্রেয়স আইয়ার। সূত্রের দাবি এমনই। নির্বাচকরা মনে করছেন শ্রেয়স লম্বা রেসের ঘোড়া। অন্তত অধিনায়কত্বের ক্ষেত্রে। যদিও এশিয়া কাপের দলে শ্রেয়স সুযোগ না পাওয়ায় দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার উপর শুভমান গিলকে টি২০ দলে সহ অধিনায়ক করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এতে বিসিসিআইয়ের অঙ্কটা বেশ পরিস্কার। যে গিলকে টেস্টের পাশাপাশি টি২০ দলের অধিনায়কও করা হবে আগামীতে। আর রোহিতের পরিবর্তে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে বোর্ড কর্তাদের মাথায় ঘুরছে শ্রেয়সের নাম। সূত্রের খবর, এশিয়া কাপের পরেই ভারতের ওয়ানডে দল নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিসিসিআই। সূত্রের খবর, রোহিত ও বিরাটের থেকে ওয়ানডে ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে চায় বোর্ড।