আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি মরশুমে ফিরছে সুপার কাপ। আইএসএল শুরু হওয়ার আগেই হবে এই টুর্নামেন্ট। এবছর দুটো টুর্নামেন্টই হবে। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হতে পারে সুপার কাপ। বৃহস্পতিবার আইএসএলের ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। সম্মিলিত বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৭-১০ দিনের মধ্যে আবার বৈঠক ডাকা হবে। সুপার কাপের তারিখ, ফরম্যাট এবং রূপরেখা নির্ধারিত হবে সেই মিটিংয়ে। সুপার কাপের ঘোষণার পাশাপাশি কল্যাণ চৌবে জানিয়ে দিলেন, আইএসএল হবেই। তবে দিনক্ষণ এখনই বলা সম্ভব নয়। আইএসএলের অনিশ্চয়তার জন্য একাধিক ক্লাব প্লেয়ার এবং কোচিং স্টাফদের বেতন দেওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। এই তালিকায় আছে বেঙ্গালুরু এফসি এবং চেন্নাইন এফসি। আরও অনেক ক্লাবই তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে। কিন্তু এই বিষয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি ফেডারেশনের সভাপতি। কল্যাণ চৌবে বলেন, 'ফুটবলার এবং স্টাফদের বেতন দেওয়া ক্লাবের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আমরা সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারি না। সমস্ত শীর্ষস্থানীয় লিগেই এমন হয়।'
এদিনের বৈঠকে তিনটে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, লিগ শুরুর আগে সুপার কাপ হবে। এআইএফএফের সভাপতি দাবি করেন, আইএসএল হবেই। তবে পাশাপাশি জানিয়ে রাখা হয়, আইএসএল হোক বা অন্য কোনও লিগ, শীর্ষস্তরের একটি লিগ হবেই। ক্লাবগুলো সুপার কাপ খেলতে রাজি হয়েছে, তবে শর্ত একটাই, লিগ হওয়ার নিশ্চয়তা থাকতে হবে। এছাড়াও তড়িঘড়ি অন্তর্বর্তীকালীন ছাড় না চাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে, এআইএফএফ এখন আইনি পরামর্শ নিতে চায়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের প্রতিনিধিরা। লাল হলুদ কর্তারা সশরীরে হাজির থাকতে না পারলেও, অনলাইনে বৈঠেক যোগ দেন। তবে মোহনবাগানের কোনও প্রতিনিধি বৈঠকে যোগ দেয়নি।
আইএসএল নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি। যার ফলে সমস্যা বাড়ছে ক্লাবগুলোর। প্রত্যেক ক্লাব দল গঠন করে ফেলেছে। কিন্তু দেশের একনম্বর লিগের ভবিষ্যৎ ঘোর অন্ধকারে থাকায়, অনির্দিষ্টকালের মতো ফুটবলার, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের বেতন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বেঙ্গালুরু এফসির মতো ক্লাব প্রথম এই পথ দেখায়। চেন্নাইন এফসিও একই পন্থা অবলম্বন করেছে। পরিস্থিতি এমন চলতে থাকলে, এই তালিকায় আরও অনেক ক্লাবই নাম লেখাতে পারে। যদিও এই বিষয়ে কোনও সদোত্তর নেই ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবের কাছে। এদিনের বৈঠকের পর জানান, এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার এক্তিয়ার নেই ফেডারেশনের।
প্রসঙ্গত, জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে আইএসএল স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সহ আইএসএলে খেলা বাকি ক্লাবগুলোকে চিঠি পাঠিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়। ক্লাবগুলোকে চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে এফএসডিএলের চুক্তি ৮ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে, সেপ্টেম্বরে আইএসএল শুরু হলেও, তার কয়েকদিনের মধ্যে চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। তারমধ্যে মাত্র এক তৃতীয়াংশ লিগ করা সম্ভব হবে। সুতরাং, এই পরিস্থিতিতে দেশের একনম্বর লিগ শুরু করা সম্ভব নয়। বর্তমান পরিস্থিতি যা তাতে নভেম্বরের আগে কোনওভাবেই আইএসএল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
