আজকাল ওয়েবডেস্ক: তরুণ অধিনায়ক। অসম্ভব চাপ নিয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন। বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মাকে ছাড়া প্রথম টেস্ট। ক্রিকেট পণ্ডিতরা ধরেই নিয়েছিল, বড় ব্যবধানে সিরিজ হারবে ভারত। অনেকে আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করেন, ৪-১ এ সিরিজ হারবে শুভমন গিলরা। শুরুটাও হয় হার দিয়ে। কিন্তু এজবাস্টনে দারুণভাবে প্রত্যাবর্তন করে টিম ইন্ডিয়া। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত গিল। সিরিজে মোট ৭৫৪ রান করেন। গিল দ্য ব্যাটার, গিল দ্য ক্যাপ্টেন, দুই ভূমিকাতেই সফল। তরুণ অধিনায়কের ভূয়সী প্রশংসায় সুনীল গাভাসকর। জানান, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন গিল। গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন। এই দলকে অনেকেই হেলাফেলা করেছিল। সিরিজ চলাকালীন একাধিক সমালোচনার মুখে পড়েন গিল। কিন্তু শেষমেষ কঠিন পরিস্থিতি থেকে সিরিজ ড্র। সুনীল গাভাসকর বলেন, 'গিল দেখিয়ে দিয়েছে। সিরিজের শুরুতে মারাত্মক চাপ ছিল ওর ওপর। কিন্তু দল পরিচালনার পাশাপাশি যেভাবে ব্যাট করেছে, প্রশংসা করতেই হবে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। নিজেকে প্রমাণ করেছে। এত রান করেছে। রানের খিদে যেন মিটছিল না। শতরানের পর দ্বিশতরান। আরও রান করতে চাইছিল। নিজে ভাল ব্যাট করায় তার ছাপ নেতৃত্ব পড়েছে। ওভালে পঞ্চম দিন এমন কঠিন পরিস্থিতিতে দারুণ ফিল্ড সাজায় গিল।'
ওভালে ইংল্যান্ডকে ৬ রানে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়া। চতুর্থ দিনের শেষে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যায় ভারতীয় দল। সিরিজে ১-২ এ পিছিয়ে ছিল টিম ইন্ডিয়া। তারওপর জো রুট এবং হ্যারি ব্রুকের জোড়া শতরানে সিরিজ প্রায় ১-৩ এ হারতে বসেছিল ভারত। কিন্তু তৃতীয় সেশনে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর দুটো উইকেট ভারতীয় দলকে ম্যাচে ফেরায়। পঞ্চম দিন ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৫ রান। ভারতের ৪ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে যে কেউ ব্রিটিশদের এগিয়ে রাখবে। কিন্তু শেষ দিন প্রথম সেশনে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। বিদেশের মাটিতে গাব্বা জয়কেই অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানা হয়। ২০২১ সালে ব্রিসবেনে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়ার পয়া মাঠে একাধিক সিনিয়র প্লেয়ার ছাড়া তিন উইকেট জিতেছিল ভারত। তবে এই জয়কে তার আগে রাখলেন সানি। তিনি বলেন, 'এটা গাব্বার থেকেও বড় হয়। যেভাবে তরুণ দল নিয়ে ভারত কামব্যাক করেছে, প্রশংসা করতেই হবে।' ৫ উইকেট নেন সিরাজ। ওভাল টেস্টে মোট ৯ উইকেট। রোমাঞ্চকর ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ২-২ করেন শুভমন গিলরা। ওভাল থেকেই শুরু হল ভারতের লাল বলের ক্রিকেটে এক নতুন যুগ। ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটন বয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব থাকবে তরুণ অধিনায়কের কাঁধে। ইংল্যান্ডে মাটিতে পিছিয়ে থেকেও সিরিজ ড্র, সেই কাঁধকে আরও মজবুত করবে।
