আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমূল পরিবর্তন! দেখে চক্ষু চড়কগাছ। নয়ের দশকের ক্রিকেট ভক্তদের নিশ্চয়ই চোখের সামনে একটা স্মৃতি এখনও ভাসে! ১৯৯৬ বিশ্বকাপ। জয়সূর্যদের একচেটিয়া দাপট। তারমধ্যে উইকেটের মাঝে হেঁটে হেঁটে অর্জুনা রণতুঙ্গার রান নেওয়া। কাট টু ২০২৫। সেই রণতুঙ্গার সঙ্গে আজকের রণতুঙ্গার কোনও মিল নেই। এমনকী দেখে চেনা দুষ্কর। সম্প্রতি তামিল ইউনিয়নের ১২৫তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক। সেখানে ছিলেন তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ সনথ জয়সূর্য, অরবিন্দ ডি সিলভা এবং মুথাইয়া মুরলিথরন। সেই অনুষ্ঠানের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে লাল রংয়ের কুর্তায় দেখা যাচ্ছে রণতুঙ্গাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যানরা তাঁকে চিনতে পারেনি।
খেলোয়াড়জীবনের দিনগুলোর তুলনায় আমূল পরির্বতন। অনেক ওজন ঝরিয়েছেন। অনেকেই শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রণতুঙ্গার ছবি পোস্ট করেন জয়সূর্য। একজন প্রশ্ন করেন, 'লাল পাঞ্জাবিতে কি রণতুঙ্গা? ও কি অসুস্থ?' আরেকজন লেখেন, 'রণতুঙ্গাকে চেনাই যাচ্ছে না।' আরও একজন ভক্ত লেখেন, 'রণতুঙ্গাকে বাকিদের থেকে ২০ বছরের ছোট লাগছে।'
২০০০ সালের জুলাইতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলেন। তারপর রাজনীতিতে যোগ দেন। সিংহল উরুমায়া পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের রণতুঙ্গাকে সবাই এখনও মনে রেখেছে। ফাইনালে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠান লঙ্কার নেতা। মার্ক টেলর এবং রিকি পন্টিংয়ের ব্যাটে ভর করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। অরবিন্দ ডি সিলভা তিন উইকেট নেন। রান তাড়া করতে নেমে সনৎ জয়সূর্য এবং রমেশ কালুউইথারানা ব্যর্থ হয়। মাত্র ২৩ রানে ২ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু আশঙ্কা গুরুসিংঘে এবং অরবিন্দ ডি সিলভার কাঁধে ভর করে ম্যাচে ফেরে লঙ্কা। শতরান করেন ডি সিলভা। শেষে ক্যাপ্টেনস ইনিংস রণতুঙ্গার। ৪৭ রান করে শ্রীলঙ্কাকে জয়ে পৌঁছে দেয়। ২২ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জেতে লঙ্কা।
