আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিকে বর্ষা, তার ওপর মাঠের হাল একেবারে বেহাল। আর তার মধ্যেই চলছে কলকাতা লিগের প্রথম ডিভিশনের ম্যাচ। স্টেডিয়াম তো দূরের কথা, একটু উচ্চ মানের মাঠ জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্লাব কর্তৃপক্ষগুলোকে। লিগ প্রায় মাঝামাঝি চলে এল তারপরেও ফুটবলারদের চোটের কথা ভেবে প্রত্যেক ম্যাচের আগে ক্লাব কর্তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন যদি একটু ভাল কোনও মাঠে ম্যাচ করানো যায়।
লিগের প্রথম ডিভিশনের ম্যাচগুলো সাধারণত পড়ে জেলার মাঠে। কিন্তু তার কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। কলকাতার ক্লাব কোনোদিন ছুটছে কোন্নগর, কোনোদিন চুঁচুড়া, কোনোদিন কল্যাণী তো কোনোদিন রানাঘাট। সোমবারই রানাঘাট মিউনিসিপ্যালিটি স্টেডিয়ামে খেলা ছিল ইউনাইটেড কলকাতা স্পোর্টস ক্লাব এবং বেঙ্গল পুলিশের। মাঠের সেন্টার লাইনের একটু সামনেই কাদা ভর্তি গর্ত, সেখানে চিহ্নমাত্র নেই ঘাসের। পরপর এত খেলা পড়ছে যে মাঠের অবস্থা ঠিক করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে কর্মীদের।
তারপরেও ইউকেএসসি কোচ দীপক মণ্ডলের বক্তব্য, :গত কয়েকদিন ধরে যে মাঠগুলোয় খেললাম তার থেকে এটা অনেক ভাল। আমি তো বলব ভাল মাঠ যদি একান্তই না দেওয়া যায় যেন এখানে খেলাগুলো ফেলে।' মাঠের পাশাপশি সমস্যা রয়েছে সূচিতেও। খেলার সূচি আগে থেকে ঠিক করা নেই। পরের খেলা কবে, কোথায়, কার সঙ্গে তা জানা যায় ৪৮ ঘণ্টা আগে। তারপর চূড়ান্ত প্রস্তুতি।
অথচ, ফুটবলার ছেঁকে নেওয়ার ক্ষেত্রে এই কলকাতা লিগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বছর বছর দেখা গিয়েছে কলকাতা লিগের প্রথম ডিভিশন থেকে বড় ক্লাবে গিয়েছেন অনেক তারকা। তবে মাঠ, রেফারিং নিয়ে আইএফএ- কে কাঠগড়ায় তুলছেন অনেকেই। এখন নিয়ামক সংস্থা কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।
