আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বপ্নভঙ্গের মাঠে ভারতের ব্যাটিং দৌরাত্ম্য।
ওয়ানডে সিরিজ আগেই জেতা হয়ে গিয়েছিল রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়ার। আহমেদাবাদের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচে ভারত ৩৫৬ রানের পাহাড় গড়ে।
আহমেদাবাদের এই মাঠেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়েছিল ভারতের। সেই মাঠে বুধবার সেঞ্চুরি হাঁকালেন শুভমান গিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বাড়িয়ে নিলেন। রানে ফিরলেন বিরাট কোহলিও। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেয়েছেন রোহিত শর্মাও। অর্থাৎ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নামার আগে কিন্তু তিন তারকা ব্যাটারই রান পেলেন। এদিন টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড।
কটকে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন রোহিত। এদিন তিনি ব্যর্থ হন। হিটম্যান মাত্র ১ রান করে ফেরেন। ইনিংসের হাল ধরেন শুভমান গিল ও বিরাট কোহলি। ১২১ রান জোড়েন দুই ব্যাটার। কোহলি দারুণ ছন্দে ছিলেন। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি করার পরে আদিল রশিদের ঘূর্ণিতে ঠকে গেলেন। রশিদের বলে ৫২ রানে ধরা পড়েন ফিল সল্টের হাতে।
তার পরে গিল ও শ্রেয়স আইয়ার ইনিংস গড়ার কাজ করেন। ১০৪ রান জোড়েন তাঁরা। এর মধ্যেই গিল সেঞ্চুরি করেন। সেই রশিদের বলেই ফেরেন শুভমান গিল। ১০২ বলে ১১২ রান করেন তিনি। ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। ঘরোয়া টুর্নামেন্টে রান পেয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। সেই আইয়ার মাঠে নামার পরে কখন যে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন, তা বুঝতেই পারেননি অনেকে। শেষ মেশ ৬৪ বলে ৭৮ রান করে ফেরেন আইয়ার। হার্দিক পাণ্ডিয়া রশিদকে দু'বার গ্যালারিতে ফেললেও শেষ হাসি হাসেন ইংল্যান্ড স্পিনারই। লোকেশ রাহুল প্রয়োজনীয় ৪০ রান করে যান ২৯ বলে। শেষমেশ ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ৩৫৬ রানে।
