আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইপিএফ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন ভারতীয় কিপার রবিন উথাপ্পার। এই ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর মুখ খুললেন তিনি। এক বিবৃতি জারি করে উথাপ্পার দাবি, ওই বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তার জন্য যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। কোনওদিন সক্রিয় ভাবে কাজ করেননি বা সংস্থার দৈনন্দিন কার্যক্রমে কখনও অংশগ্রহণ করেননি। জানা গিয়েছে, ২০১৮-১৯ সালে উথাপ্পা স্ট্রবেরি লেনসেরিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, সেন্টরাস লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডস প্রাইভেট লিমিটেড, এবং বেরিজ ফ্যাশন হাউজ নামক তিনটি কোম্পানির পরিচালকের পদে নিযুক্ত হন।
প্রাক্তন ক্রিকেটার জানিয়েছেন, ‘আমি এই সংস্থাগুলির পরিচালকের পদে নিযুক্ত হয়েছিলাম আমার আর্থিক সহায়তার কারণে। একজন পেশাদার ক্রিকেটার, টিভি উপস্থাপক এবং ধারাভাষ্যকার হিসেবে আমার ব্যস্ত সময়সূচির কারণে আমি এই সংস্থাগুলির কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারিনি’। উথাপ্পার দাবি, সময় না দেওয়ার কারণে তিনি যে ঋণ নিয়েছিলেন তা সংস্থাগুলি তাঁকে ফেরত দিয়ে দেয়। এরপর ওই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তিনি আইনি ব্যবস্থা নিতে নেন যা বর্তমানে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। কয়েক বছর আগে সংস্থার পরিচালকের পদ ছেড়েও দেন বলে জানিয়েছেন রবিন। সংস্থাগুলির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর রবিন উথাপ্পার লিগ্যাল টিম পদক্ষেপ গ্রহণ করে বলে জানা গিয়েছে।
তাদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন ক্রিকেটার ওই সংস্থাগুলির সঙ্গে কখনও সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন না। যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পার বিরুদ্ধে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) জমা না দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। বেঙ্গালুরুর আঞ্চলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার এবং রিকভারি অফিসার শাদাক্ষরা গোপাল রেড্ডি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন সিএসকে তারকার বিরদ্ধে। এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, রবিন উথাপ্পা সেন্টরাস লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর হিসেবে ২৩.৩৬ লক্ষ টাকা বকেয়া এখনও দেননি। এরপরেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিবৃতি জারি করলেন উথাপ্পা।
