আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে উঠে গেলেন মহিলাদের শীর্ষবাছাই এরিনা সাবালেঙ্কা। তাঁকে খেলতেই হয়নি। ওয়াকওভার পেয়ে গেলেন তিনি মার্কেটা ভন্দ্রোসোভার বিরুদ্ধে। চোটের জন্য কোয়ার্টার ফাইনালে নামতেই পারেননি ভন্দ্রসোভা। ফলে শেষ চারে চলে যান মহিলাদের শীর্ষবাছাই। এদিকে, শেষ চারে উঠে গিয়েছেন মহিলাদের চতুর্থ বাছাই আমেরিকার জেসিকা পেগুলা। কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি ৬–৩, ৬–৩ ব্যবধানে হারালেন দু’বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন চেচিয়ার বার্বোরা ক্রেজিকোভাকে।
১ ঘণ্টা ২৬ মিনিটের ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল পেগুলার। ক্রেজিকোভার প্রথম সার্ভিসই ভেঙে দেন চতুর্থ বাছাই। প্রথম সেটে এক সময় ৪–১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর কিছুটা লড়াই করেন ক্রেজিকোভা। আমেরিকার খেলোয়াড়ের সার্ভিস ভেঙে ৩–৪ করেন। কিন্তু বাকি দু’টি গেম জিতে প্রথম সেট দখল করেন নেন পেগুলা।
প্রথম সেটের মতো দ্বিতীয় সেটেও প্রতিপক্ষকে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলতে পারেননি বিশ্বের প্রাক্তন দু’নম্বর ক্রেজিকোভা। তৃতীয় রাউন্ডে আমেরিকার দশম বাছাই এমা নাভারো এবং চতুর্থ রাউন্ডে আমেরিকারই অবাছাই খেলোয়াড় টেলর টাউনসেন্ডকে হারালেও কোয়ার্টার ফাইনালে পেগুলাকে সমস্যায় ফেলতে পারলেন না। দ্বিতীয় সেটেও প্রথম থেকে পিছিয়ে পড়েন তিনি। ১–৩ গেমে পিছিয়ে পড়ার পর কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। পেগুলার আগ্রাসী টেনিসের সামনে দাঁড়াতে পারেননি বিশ্বের ৬২ নম্বর ক্রেজিকোভা। তাঁর ৭টি ডবল ফল্ট এবং দুর্বল প্রথম সার্ভিস কাজে লাগিয়ে ম্যাচ বের করে নেন পেগুলা।
এদিকে, পুরুষদের সিঙ্গলসে শেষ চারে উঠে গেলেন সার্বিয়ান তারকা নোভাক জকোভিচ। সপ্তম বাছাই জকোভিচ ৬–৩, ৭–৫, ৩–৬, ৬–৪ গেমে হারান চতুর্থ বাছাই টেলর ফ্রিৎজকে। চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে এই ফ্রিৎজের কাছে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল জকোভিচকে। ইউএস ওপেনে বদলা নিলেন জোকার। যদিও জকোভিচের কাজটা সহজ ছিল না। চোট সমস্যাও ছিল। কিন্তু সে সব সমস্যাকে কাটিয়ে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিলেন তিনি। একটা সেট মাত্র খুইয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১৫০০ কোটি টাকা! কোন ফুটবলারকে কিনতে এই ট্রান্সফার ফি দিল লিভারপুল জানলে চমকে যাবেন
এর আগেরদিনই অবশ্য কোকো গফকে হারিয়ে চমক দিয়েছিলেন নাওমি ওসাকা। তাও আবার স্ট্রেট সেটে। ১৬৫৮ দিন, অর্থাৎ সাড়ে চার বছর পর আবার কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন জাপানের তারকা।
আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে গফকে স্ট্রেট সেটে (৬–৩, ৬–২) হারিয়েছেন ওসাকা। এই জয়ের ফলে র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ২০ জনের মধ্যে ঢুকে পড়লেন ওসাকা। শেষ ষোলোর ম্যাচে গফকে ভুগিয়েছে তাঁর সার্ভিস ও ফোরহ্যান্ড। অন্য দিকে যত সময় গড়িয়েছে তত ভয়ঙ্কর দেখিয়েছে ওসাকাকে। তাঁর চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মধ্যে দু’টি ইউএস ওপেন ও দু’টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। অর্থাৎ, হার্ড কোর্টে ভাল খেলেন তিনি। সেটাই আরও এক বার দেখা গেল।
এর আগে এক বারই গফ ও ওসাকা মুখোমুখি হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে ইউএস ওপেনে। তখন গফের বয়স মাত্র ১৫। সে বারও জিতেছিলেন ওসাকা। এবারও জিতলেন ২৭ বছর বয়সি খেলোয়াড়। ২০২৩ সালে যখন গফ ইউএস ওপেন জিতেছিলেন তখন গ্যালারিতে বসে তা দেখেছিলেন ওসাকা। তার দু’মাস আগেই কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। সেই কোর্টেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন ওসাকা।
