আজকাল ওয়েবডেস্ক: জশপ্রীত বুমরার অনুপস্থিতিতে ভারতের বোলিং বিভাগের গুরুদায়িত্ব মহম্মদ সামির উপরে। এহেন সামিই একসময়ে ভেবেছিলেন তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার বোধহয় শেষ হয়ে গেল। তিনি আবার ফিরে এসেছেন জাতীয় দলে।  চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁর দিকে তাকিয়ে সবাই। 

২০২৩ সালের পঞ্চাশ ওভারের  বিশ্বকাপে সামি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপের পরই জানা যায় গোড়ালির চোট নিয়েই তিনি বিশ্বকাপ খেলেছেন। অস্ত্রোপচার করতে হবে সামিকে অস্ত্রোপচার করে ১৪ মাস পরে ফিরে এসেছেন সামি। 

আইসিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সামি বলছেন, ''বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিলাম। সেখান থেকে অস্ত্রোপচারের টেবিল, খুবই কঠিন ছিল আমার কাছে।''  

সামি আরও বলেন, ''প্রথম দু' মাস সন্দেহ ছিল চোটের পরে আমি কি আর খেলতে পারব। ক্রিকেট থেকে  ১৪ মাস সরে থাকা একজন ক্রিকেটারের সব কিছু কেড়ে নিতে পারে।''

চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফিতে বুমরার অনুপস্থিতিতে সামিই রোহিতের হাতের সেরা অস্ত্র। মাঠে নামার আগে বঙ্গ পেসার বলছেন, ''চিকিৎসককে আমার প্রথম প্রশ্ন ছিল, কবে আবার ফিরতে পারব মাঠে। ডাক্তার বলেন, প্রথমে দেখতে চাই তুমি হাঁটছ, তার পরে জগিং, পরে দৌড়নো। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে নামা বহু দূরের লক্ষ্য।'' 

সামি জানাচ্ছেন, কবে তিনি মাটিতে পা রাখতে পারবেন, সেই ছিল চিন্তা। একজন ক্রিকেটার যে নিয়মিত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছে, সেই খেলোয়াড় ক্রাচ নিয়ে হাঁটছে, দেখাটা খুবই কষ্টকর। সামিরও সেরকমই হতো। কিন্তু যাবতীয় আশঙ্কা কাটিয়ে উঠে, ফিট হয়ে সামি ফিরে এসেছেন জাতীয় দলে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে  সামি-ম্যাজিক দেখার অপেক্ষায় সবাই।