আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইডেনে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি। বিশ্বকাপের ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পরে ফের ইডেন ভাসবে আবেগের স্রোতে। 
 
 সূর্যকুমার যাদবের দলের খেলা। কিন্তু না থেকেও অদৃশ্য ভাবে রয়ে গিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। 
এই টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের একাধিক ক্রিকেটার কোনও না কোনও সময়ে নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন এবং খেলছেন। এমনকী হেড কোচ গৌতম গম্ভীরও যে কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজির মেন্টর ছিলেন। সেই গম্ভীর এখন জাতীয় দলের দ্রোণাচার্য। প্রথমে শ্রীলঙ্কা, পরে নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভরাডুবির প্রেক্ষিতে গুরু গম্ভীরকে নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠে গিয়েছে।
রিঙ্কু সিং, হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী এখনও কলকাতা নাইট রাইডার্সেরই সদস্য।
বুধ সন্ধ্যার ভারত-ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মহম্মদ সামির প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও তো বছর তিনেক ছিলেন কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে।
সেই সামিও একসময়ে কেকেআর-এর জার্সিতে খেলেছিলেন। 
 
 ফলে ইডেনে টিম ইন্ডিয়া খেলবে বুধবার। কিন্তু অদৃশ্য ভাবে থেকে যাবে নাইট রাইডার্স। শুধু কি ভারতীয় ক্রিকেটাররা? ইংল্যান্ড স্কোয়াডে থাকা ফিল সল্টও তো খেলেছেন বেগুণী জার্সিতে। কলকাতার হৃদয়ের টান তো তিনিও অনুভব করেছেন। 
এই শহরের শ্বাসপ্রশ্বাসে শুধুই একজন। তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর ও কেকেআর-এর রোম্যান্স যেন মান্না দে-র সেই বিখ্যাত গানের লাইন, হৃদয়ে লেখো নাম, সে নাম রয়ে যাবে। নন্দনকাননে একসময়ে সৌরভ ছড়িয়ে গিয়েছেন মহারাজ।
এই ইডেন আবার দেখেছে গৌতম গম্ভীর যুগও। 
 
 কলকাতার সিংহাসন ছেড়ে মহারাজের সরে যাওয়া গম্ভীরের রাজ্যাভিষেকের পথ প্রশস্ত করে। সৌরভের ছেড়ে যাওয়া সিংহাসনে অভিষেক ঘটে গম্ভীরের। 
বিশ্বজয়ীর মুকুট পরে গম্ভীর এই শহরে এসেছিলেন ক্রিকেটের ভাগ্যান্বেষণে। এই শহর তাঁকে খালি হাতে ফেরায়নি। যে শহর নিজের সৌরভের কীর্তির শরিক হতে পারেনি, সেই শহর হৃদয় উপুড় করে দিয়েছে গৌতম গম্ভীরকে। নাইট অধিনায়ক হিসেবে গম্ভীর দুবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছেন কলকাতাকে। দিল্লি ছেড়ে কলকাতা একসময়ে হয়ে গিয়েছিল গম্ভীরের হৃদয়ের রাজধানী।
ক্রিকেটার গম্ভীরের সময় সেই কবেই ফুরিয়েছে। মেন্টর গম্ভীর লখনউ হয়ে কলকাতায় ফিরেই নাইটদের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেন।
সেই গম্ভীর ফের তাঁর স্বপ্নের ভূমিতে। তাঁর দিকে ধেয়ে আসা যাবতীয় সমালোচনার ঘূর্ণিঝড় দিক বদলে যেতে পারে। সবার মতো গম্ভীরও জানেন জয় দূর করে দেয় যাবতীয় কালিমা। অন্ধকারের সরণী থেকে আলোর রাস্তায় ফেরাতে পারে ব্যক্তিবিশেষকে।
বুধ-সন্ধ্যার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কেবলমাত্র ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ নয়। অদৃশ্য ভাবে কোথাও যেন বেজে চলেছে, করবো, লড়বো, জিতবো রে।
গম্ভীরের দলের সাজঘরের থিম সংও বোধহয় এই মুহূর্তে এটাই। করব, লড়ব, জিতব রে।
