আজকাল ওয়েবডেস্ক: লাল হলুদে সবুজ তোতা। ইস্টবেঙ্গল জার্সি হাতে পোজও দিলেন হোসে রামিরেজ ব্যারেটো। যা দেখে সাময়িকভাবে হয়তো আঁতকে উঠবে মোহনবাগান ভক্তরা। ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে এই ফ্রেম অনেকেরই কল্পনাতীত। বুধবার বিকেলে অস্কার ব্রুজোর তত্ত্বাবধানে লাল হলুদের সিনিয়র দলের অনুশীলন চলাকালীন আচমকা হাজির ব্যারেটো। প্রথমেই সৌজন্য সাক্ষাৎ সারেন শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের সঙ্গে। তারপর কর্তাদের আমন্ত্রণে ঘুরে দেখেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবতাঁবু, সংগ্রহশালা এবং লাইব্রেরি। বেশ কিছুক্ষণ কাটান লাল হলুদের আর্কাইভে। ইতিহাসের পৃষ্ঠা উল্টে দেখেন মোহনবাগানের ঘরের ছেলে। ইস্টবেঙ্গলের সংগ্রহশালা দেখে অভিভূত ব্যারেটো‌। ভিজিটর বুকে লেখেন, 'এখানে যা দেখলাম, তাতে আমি অভিভূত। ইতিহাসের একটা অংশ।' পরে নিজের ফেসবুকেও লাল হলুদ তাঁবু ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। 

বুধ বিকেলে ক্লাবতাঁবু ঘোরার ফাঁকে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় দেখা যায় ব্যারেটোকে। তাঁকে ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানান শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। সুব্রত ভট্টাচার্য, সত্যজিৎ চ্যাটার্জির পর মোহনবাগানের ঘরের ছেলে হোসে রামিরেজ ব্যারেটো। সবুজ মেরুন জার্সি ছাড়া বাগানের প্রাণভ্রমরাকে ভাবাই যায় না। তাঁর নিজেরও শয়নে স্বপনে শুধুই মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ ক্লাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ সারতে গেলেও, কোনওদিন সুব্রত ভট্টাচার্যের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন না ব্যারেটো।‌ তবে কলকাতার প্রধানের কামব্যাকের আশায়।

মরশুমের শুরুতেই কোচ বদলের পক্ষে নয় তিনি। কার্লেস কুয়াদ্রাতের বিদায় সমর্থন করেন না। তবে এএফসির মঞ্চে সাফল্যের পর, আইএসএলেও ইস্টবেঙ্গলের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আশাবাদী ব্যারেটো। দু'দিন আগে তিনি জানান, এএফসির পারফরম্যান্স দলের মনোবল বাড়াবে। সেটা কাজে লাগিয়ে এবার আইএসএলে প্রত্যাবর্তন করা উচিত ইস্টবেঙ্গলের। ঠিক এক সপ্তাহের কলকাতা সফরে এসেছেন ব্যারেটো। শুক্রবার ফিরে যাবেন মুম্বই। মাঝে কলকাতা ফুটবল লিগের প্রথম ডিভিশনের সুপার সিক্সের খেলাও দেখেন। মুম্বইয়ে এখনও দিওয়ালির ছুটি চলছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক সপ্তাহের জন্য নিজের পুরনো শহরে ঘুরে গেলেন ব্যারেটো।