আজকাল ওয়েবডেস্ক: রোহিত শর্মাকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন ইরফান পাঠান। দাবি, অধিনায়ক না হলে ২০২৪ সালের শেষদিকে টেস্ট দলে জায়গা পাওয়া কঠিন হত তাঁর। বছরের শেষে বর্ডার-গাভাসকর‌ ট্রফিতে রোহিতের খারাপ পারফরম্যান্সের কথা তুলে ধরেন। প্রথম টেস্টে খেলেননি। পরের তিন টেস্টে গড় ৬.২০। সিডনিতে ফাইনাল টেস্টে নিজেই সরে দাঁড়ান। একটি সাক্ষাৎকারে পাঠান বলেন, 'সাদা বলের ক্রিকেটে রোহিত দারুণ প্লেয়ার। কিন্তু সেই বছর টেস্ট ক্রিকেটে ওর গড় ৬ ছিল। তাই আমরা বলাবলি করছিলাম, ও অধিনায়ক না হলে, টেস্ট দলে জায়গা পেত না। আমরা বলেছিলাম ওর লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত। তবে আবারও বলছি, প্রথম একাদশে ওর জায়গা পাওয়া উচিত ছিল না। অধিনায়ক না হলে, ওকে দল থেকে আগেই ছেঁটে ফেলা হত।' 

ভারতের প্রাক্তনী মনে করেন, রোহিত যথেষ্ঠ সমর্থন পেয়েছেন। যেদিন হিটম্যান সিডনি টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন, তখন ইরফান পাঠান এবং যতীন সাপরুকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন। অনেকে মনে করেন, সেদিন পাঠান প্রয়োজনের তুলনায় বেশি রোহিতকে সমর্থন করেন। এই নিয়ে ক্রিকেট মহলে কথাও হয়। এদিন সেই নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন অলরাউন্ডার। পাঠান বলেন, 'লোকে বলে আমরা রোহিত শর্মাকে খুব বেশি সমর্থন করেছি। কেউ যদি সম্প্রচারকারী চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে আসে, আমরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে পারি না। তাই না? আমরাই ওকে সাক্ষাৎকারের জন্য আমন্ত্রণ জানাই। তাই ভদ্র ব্যবহার করতেই হয়। কারণ ও আমাদের অতিথি।' 

সেদিনই হয়ত দেওয়াল লিখন পড়ে ফেলেছিলেন রোহিত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন টেস্টে ব্যর্থতার জেরে শেষ টেস্ট থেকে নিজেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেদিন রোহিত বলেছিলেন, 'আমি টেস্ট থেকে সরে দাঁড়াতে চাই। আমার ব্যাটে রান আসছে না। আমি ফর্মে নেই। এটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ফর্মে থাকা প্লেয়ার দরকার। আমাদের দলে অনেক ব্যাটারই ফর্মে নেই। তাই দলে একাধিক ফর্মের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের রাখা যাবে না। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার জন্য কঠিন ছিল। তবে সবকিছু বিবেচনা করে দেখলে, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত। খুব দূরের কথা ভাবতে চাই না। দলের এই মুহূর্তে যা প্রয়োজন, সেটাই করেছি। তার বাইরে কিছু না।' সেদিনই মনে হয়েছিল, লাল বলের ক্রিকেটে হয়ত শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন রোহিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। কিন্তু অবসরের কোনও ইঙ্গিত দেননি ভারত অধিনায়ক। বরং জানান, এখনই টেস্ট থেকে অবসরের ভাবনা নেই। তবে শেষমেষ অস্ট্রেলিয়াতেই কেরিয়ারের শেষ টেস্ট খেলে ফেলেন রোহিত। ইংল্যান্ড সফরের আগে কর্তাদের চাপে পড়ে টেস্ট থেকে অবসর নেন। তার পাঁচদিন পরই লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানান বিরাট কোহলিও।