আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিউজিল্যান্ডকে কি তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছিল ভারত? আত্মতুষ্টি এসে গিয়েছিল?

ওয়াংখেড়েতে তৃতীয় টেস্টে নামার আগে নিউজিল্যান্ডের উইকেট কিপার-ব্যাটার টম ব্লান্ডেল জানালেন, সম্প্রচারকারী চ্যানেল থেকে শুরু করে ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা ধরেই নিয়েছিল বাংলাদেশকে ২-০-এ সিরিজ হারানোর পরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও টেস্ট সিরিজ ভারত ৩-০-এ জিতে নেবে। দুই সিরিজ মিলে ফলাফল হবে ৫-০।

সিরিজ শুরু হওয়ার পর অন্য ছবি দেখা গেল। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিউজিল্যান্ড সিরিজ জিতে নিয়েছে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার কাছে টেস্ট হেরে ভারতে এসেছিল কিউয়িরা। ব্লান্ডেল বলছেন, ''আমরা যখন এখানে এলাম , তখন টেলিভিশনে স্লোগান ছিল ঘরের মাঠে এই গ্রীষ্মে ৫-০ হবে সিরিজের ফলাফল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরার পরে ওরা আমাদের গুরুত্বই দেয়নি। কিন্তু ওরা এখন ধাক্কা খেয়েছে। যেভাবে আমরা দুর্দান্ত ক্রিকেট তুলে ধরেছি, তাতে অনেকেই হতচকিত। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দলকে আমরা ওদের ঘরের মাঠেই হারিয়েছি।''    

হোয়াইট ওয়াশের মুখে ভারত। অন্যদিকে সিরিজ হেরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছনো নিয়ে নানা সমীকরণের সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভারতকে। এদিকে অনেকেই মনে করছেন, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ভারতের বিপদ ডেকে এনেছে। নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজ হারের পরে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বাসিত আলি মনে করেন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের জন্যই টিম ইন্ডিয়াকে ডুবতে হয়েছে সিরিজে।

তিনি বলেছেন, ''আমি আগেই বলেছিলাম ৩৫০-এর বেশি রান তাড়া করা কঠিন হয়ে যাবে। টপ থ্রি ব্যাটারদের মধ্যে একজনকে সেঞ্চুরি করতে হবে। ভারতের ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা ধরা পড়েছে। প্রথম টেস্টে কিউয়ি পেসাররা ১৭টি উইকেট নেয়। দ্বিতীয় টেস্টে স্পিনাররা ১৯টি উইকেট নিয়েছে। ভারতের প্লেয়াররা পেসারদের সামলাতে পারেনি আবার স্পিনারদেরও খেলতে পারেনি। বেঙ্গালুরুর পিচে গতি এবং বাউন্স ছিল, সেখানেও ভারত হেরেছে। স্পিনিং ট্র্যাকেও ভারতকে হারতে হয়েছে।''