আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ব্রঙ্কো টেস্ট তো হচ্ছেই। পাকিস্তান ম্যাচের আগে ভারতীয় দলের ফিল্ডিং অনুশীলনে দেখা গেল আর এক নয়া পরীক্ষা। শুক্রবার ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের অধীনে সেই নতুন পরীক্ষা দিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া, রিঙ্কু সিং, শুভমান গিলরা। যা অনেকটা ফুটবলের গোলকিপারের অনুশীলনের মতো।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, এক নতুন পরীক্ষা শুরু করেছে টিম ইন্ডিয়া। যেখানে ছোট গোলপোস্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। আর সামনে থেকে তাঁদের দিকে বল ছুড়ছেন টি দিলীপ। ক্রিকেটারদের কাজ হবে বল যেন কোনওভাবেই পিছনের গোলপোস্টের জালে না জড়ায়। সেই ক্যাচ ধরার অনুশীলন চলছে নতুন বলে। যা খুব দ্রুত গতির হয়।

 

আরও পড়ুন:‌ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পরবর্তী সভাপতি ভাজ্জি?‌ জল্পনা তুঙ্গে


প্রত্যেক ক্রিকেটারকে লক্ষ্য করে দুটো সেটে পাঁচবার বল ছোড়া হচ্ছিল। শুরুতে আসেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। তিনি যথেষ্ট ভাল পারফর্ম করেন। শরীর ছুড়ে চারটি ক্যাচ ধরেন গিলও। প্রথম সেটে ভালভাবে ক্যাচ ধরতে পারেননি রিঙ্কু। দ্বিতীয় সেটে সেরা ছন্দে ছিলেন তিনি। কিন্তু আচমকা কেন এই পরীক্ষা? হার্দিকের উত্তর, ‘‌যদি আমাকে ড্রাইভ মারতে হয়, তাহলে বুঝতে হবে আমি ঠিক জায়গায় ঠিক সময়ে পৌঁছতে পারছি কি না।’‌ অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মারাও এই পরীক্ষায় বেশ ভালভাবেই উত্তীর্ণ হয়েছেন। ক্রিকেটারদের তিন ভাগ করে এই পরীক্ষা করা হয় বলে জানা গেছে। 


এর আগে গম্ভীরের সামনেই ব্রঙ্কো টেস্ট দিয়েছেন অর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদবরা। খেলোয়াড়দের অ্যারোবিক ক্ষমতা পরীক্ষা করা এবং কার্ডিওভ্যাসকুলার প্রক্রিয়া বাড়াতে খুবই উপযোগী এই ব্রঙ্কো টেস্ট। যা নিয়ে টিম ইন্ডিয়ার স্ট্রেংথ এবং কন্ডিশনিং কোচ আদ্রিয়ান লে রু বলেছেন, ‘‌মাঠে গিয়ে দিতে হয় এই পরীক্ষা। বিশ্বের যে কোনও জায়গায়, যে কোনও মাঠে এই পরীক্ষার আয়োজন করা যেতে পারে। ফলে খেলোয়াড়রাও নিজেদের ফিটনেস মূল্যায়ন করারও সুযোগ পায়।’‌ 

 

আরও পড়ুন:‌ নেট রানরেটে ভারত বহু এগিয়ে, পাকিস্তানের কাছে হারলেও গ্রুপ শীর্ষে থাকা আটকাবে না সূর্যদের...

এটা ঘটনা ব্রঙ্কো টেস্ট ঘিরে এক দিন আগেই মুখ খুলেছিলেন স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ আদ্রিয়ান লে রু। তিনি দায়িত্ব নিয়েই ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছেন। আমদানি করেছেন ব্রঙ্কো টেস্টের। 


এই ব্রঙ্কো টেস্ট মূলত রাগবি প্লেয়ারদের জন্যই। তাঁদের অ্যারোবিক ও কার্ডিও ভাসকুলার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। এই টেস্টে চারটি মার্ক রয়েছে। জিরো মিটার, ২০ মিটার, ৪০ মিটার ও ৬০ মিটার। যেখানে এক জন প্লেয়ারকে জিরো থেকে ৬০ মিটার অবধি দৌড়ে আবার জিরো মিটারে ফিরতে হয়। তারপর আবার ৪০ মিটারে গিয়ে জিরো মিটারে ফিরতে হয়। এইভাবে ২০ মিটারে গিয়ে ফের জিরো মিটারে ফিরতে হয়। এইভাবে ২৪০ মিটার সম্পূর্ণ করতে হয়। এইভাবে পাঁচটা সেটে ১২০০ মিটার দৌড়তে হয় কোনও বিরাম ছাড়াই। যথেষ্ট কঠিন পরীক্ষা। ক্রিকেটের বাইবেল উইজডেনের দাবি, ভারতীয় ক্রিকেটারদের এই প্রক্রিয়াটা নাকি পুরো ৬ মিনিটে সম্পূর্ণ করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:‌ ক্রিকেট খেলতে খেলতেই বড় চাকরি পেয়ে গেলেন এই অজি ক্রিকেটার