আজকাল ওয়েবডেস্ক: উইম্বলডন পেল নতুন রানিফাইনালে পোল্যান্ডের ইগা সিয়াতেক দাঁড়াতেই দিলেন না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আনিসিমোভাকেশনিবার কার্যত একপেশে ফাইনালে ইগা সিয়াতেক ৬-০, ৬-০-এ হারালেন আনিসিমোভাকে। মহিলাদের ফাইনাল গড়াল এক ঘণ্টার মতো। ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় মহিলা খেলোয়াড় হিসেবে কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে প্রতিপক্ষকে ‘ডাবল ব্যাগেল’ উপহার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন অষ্টম বাছাই সিয়াতেক

এর আগে ১৯১১ সালে উইম্বলডনের ফাইনালে ডোরা বুথবিকে ৬-০, ৬-০ গেমে হারিয়েছিলেন ডরোথি ল্যাম্বার্ট-চ্যাম্বার্স। ১৯৮৮ সালে নাতাশা জভেরেভাকে ৬-০, ৬-০ গেমে হারিয়ে ফরাসি ওপেন জেতেন স্টেফি গ্রাফ। ৩৭ বছর পর অবিশ্বাস্য এই কীর্তিতে নাম লেখালেন সিয়াতেক। 

আরও পড়ুন: কাপুরুষের মতো খেলা ইংল্যান্ডের! একের পর এক শর্ট বল ধেয়ে এল পন্থের দিকে, গাভাসকর বললেন, 'এটা ক্রিকেটই নয়'

যতটা নাটকীয় ভাবে আনিসিমোভা উইম্বলডনের ফাইনালে উঠেছিলেন, ফাইনালে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না। ইগা সিয়াতেক স্টিম রোলার চালিয়ে দিলেন। কোনও উত্তরই ছিল না আনিসিমোভার কাছে। প্রথমবার ফাইনালে নেমে টেনশন হয়তো গ্রাস করেছিল তাঁকে।

সেন্টার কোর্টে ২ ঘণ্টা ৩৭ মিনিটের লড়াইয়ের শেষে আনিসিমোভা জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন সাবালেঙ্কার কাছ থেকে। ম্যাচ জেতার পরে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “এখনও স্বপ্ন মনে হচ্ছে। এটা কতটা কঠিন ছিল, সেটা বলে বোঝানো যাবে না। এখানে খেলতে পারা আমার জন্য সৌভাগ্যের। ফাইনালে ওঠার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না'' 

Catherine, the Princess of Wales presents a trophy to runner up Amanda Anisimova.

এদিন আনিসিমোভাকে উড়িয়ে দিয়ে ইগা সিয়াতেক চলে গেলেন গ্যালারিতে। সেখানে তাঁর টিম উপস্থিত ছিল। তাঁরা অভিনন্দন জানান পোলিশ তারকাকে।

অন্যদিকে ইগা সিয়াতেক ফাইনালে ওঠেন সুইস প্রতিযোগী বেলিন্ডা বেনচিচকে উড়িয়ে দিয়ে। মাত্র ৭১ মিনিটে ৬-২,৬-০ গেমে জয়ের পর নিজের বিস্ময়টা লুকিয়ে রাখেননি পোলিশ তারকা শিয়াতেক, ''সত্যি বলতে, আমার কল্পনায়ও ছিল না উইম্বলডনের ফাইনাল খেলব। তাই আমি রোমাঞ্চিত এবং নিজেকে নিয়ে গর্বিত। জানি না কেন টেনিস বারবার আমাকে অবাক করে'' 

Iga Swiatek of Poland celebrates winning Championship point against Amanda Anisimova.

এটা শিয়াতেকের ১০০-তম জয়। ২০০৪ সালে সেরিনা উইলিয়ামসের পর গ্র্যান্ড স্ল্যাম ম্যাচে দ্রুততম ১০০ জয় পাওয়ার কীর্তি গড়লেন পোলিশ তারকা। ওপেন যুগে উইম্বলডন পেল প্রথম পোলিশ চ্যাম্পিয়ন। ২০১২ সালে র‌্যাডওয়ানস্কা ফাইনালে উঠলেও সেবার খেতাব জিততে পারেননি। মার্গারেট কোর্ট ও মনিকা সেলসের পর ওপেন এরায় তৃতীয় নারী হিসেবে প্রথম ছ'টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালের ছ'টিতেই জিতলেন ইগা। উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে ইগা সিয়াতেক বলেন, ''আজ কী হয়েছে, তা নিয়ে চিন্তা করো না। তুমি যা করেছো তার জন্য গর্বিত হওয়া উচিত তোমার।''

নিজের জয় নিয়ে ইগা বলেন, ''এই শিরোপা আগে জিততে পারিনি। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম, কিন্তু এই বছর আমি সত্যিই উপভোগ করেছি এবং খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। অসাধারণ এক মুহূর্ত।''

আনিসিমোভা ফাইনাল হেরে গেলেও ইগাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ''অবিশ্বাস্য লাগছে এই দুই সপ্তাহ। আজ আমি সব অর্থেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আরেকটু ভাল পারফরম্যান্স আজ দিতে পারতাম। তাও তোমরা আমার পারফরম্যান্স তুলে ধরার চেষ্টা করেছো। তার জন্য ধন্যবাদ।''

আরও পড়ুন: প্যারিস অলিম্পিকের পর কবে প্রথমবার আরশাদ নাদিমের মুখোমুখি হবেন নীরজ?