আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রচারের সার্চলাইট তাঁর উপরে এসে পড়ে না সেভাবে। তিনি নীরবে ব্যাট করে গিয়েছেন। তাঁর ব্যাট কথা বলায় রোহিত শর্মার দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়া সহজ হয়ে যায়।
রবিবাসরীয় ফাইনালে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মতো তারকা ফিরে যাওয়ার পরেও ধুকপুকানি শুরু হয়নি কেবল তাঁর জন্যই। তিনি শ্রেয়স আইয়ার। সাংবাদিক বৈঠকে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন শ্রেয়সের।
ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ দলে ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। তাঁর নেতৃত্ব কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএল চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। কিন্তু শ্রেয়স আইয়ার ছিটকে যান জাতীয় দল থেকে। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও ছিটকে যান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে ফিরে আসেন জাতীয় দলে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শ্রেয়সের চওড়া ব্যাট একাধিক ক্ষেত্রে ভারতকে সমস্যা থেকে টেনে তোলে। রোহিত বলছেন, ''সাইলেন্ট হিরো শ্রেয়স আইয়ারের কথা ভুললে চলবে না। গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছে। মাঝের ওভারগুলোয় শ্রেয়সের ভূমিকা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবসময়ে পার্টনারশিপ গড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে বিরাট কোহলির সঙ্গে জুটি বেঁধেছিল। এদিনও ওর ইনিংস দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি যখন আউট হয়ে গিয়েছিলাম, তখন তিন উইকেট চলে গিয়েছিল। সেই সময়ে ৫০-৭০ রানের পার্টনারশিপের দরকার ছিল। শ্রেয়স ও অক্ষর ওই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ জুটি বেঁধেছিল। পরিস্থিতির বিচার করে এবং পরিস্থিতি বুঝে এই ধরনের পারফরম্যান্স তুলে ধরলে তা দলের জন্যই ভাল। আমার কাজও কমে গিয়েছিল।''
ফাইনালে শ্রেয়স আইয়ার মাত্র ২ রানের জন্য পঞ্চাশ করতে পারেননি। টু্র্নামেন্টের পাঁচটা ম্যাচে ২৪১ রান করেন শ্রেয়স। ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও শ্রেয়স। রাচীন রবীন্দ্র ২৬৩ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। শ্রেয়স ঠিক তাঁর পিছনেই।
শ্রেয়স আইয়ার নীরবে রান করে গিয়েছেন। প্রয়োজনে তিনিই দলের জন্য হয়ে উঠেছেন মসীহা। এরকম এক ক্রিকেটার দলে থাকলে যে কোনও অধিনায়কের কাজ সহজ হয়ে যায়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে ওয়ার পরে ক্যাপ্টেন রোহিত সেই কারণেই শ্রেয়স আইয়ারকে প্রশংসা করছেন।
