আজকাল ওয়েবডেস্ক: অস্ট্রেলিয়া সফরই শেষ টেস্ট সিরিজ হতে পারে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজার। চার তারকাকে লাল বলের ক্রিকেটে আর নাও দেখা যেতে পারে। পেস সহায়ক অস্ট্রেলিয়ান পিচে, রান করা কঠিন। তাই নজর ব্যাটার এবং ফাস্ট বোলারদের দিকে থাকে। তাতেই স্পটলাইট বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার ওপর। একেবারেই ছন্দে নেই ভারতীয় ক্রিকেটের দুই মহাতারকা। দীর্ঘ খরার পর পারথে শতরান করেন কোহলি। কিন্তু রোহিতের খারাপ ফর্ম অব্যাহত। দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের জন্য প্রথম টেস্টে খেলেননি। অ্যাডিলেডে দুই ইনিংসে ৩ এবং ৬ রান করেন। তাঁদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড সিরিজে ব্যর্থ হলেও, ভাবা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায় ছন্দ খুঁজে পাবে দুই তারকা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁরা হতাশই করে। গ্রেগ চ্যাপেল মনে করেন এবার আসরে নামা উচিত বোর্ডের নির্বাচক মণ্ডলীর। তবে বিরাট এবং রোহিতের মতো তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলতে সেই মাপের নির্বাচক থাকা দরকার। যারা দুই তারকার সঙ্গে কড়া ভাষায় কথা বলতে পারবে। চ্যাপেল বলেন, 'ওরা নিজেরা তাঁদের ফর্ম সম্বন্ধে অবগত। তবে ওরা খেলতে ভালবাসে। যতদিন সম্ভব খেলা চালিয়ে যেতে চায়। তার যথেষ্ট কারণ এবং অধিকার আছে।'
দেশের হয়ে খেললে মোটা টাকা উপার্জন হয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মনে করেন, প্লেয়ারদের খেলা চালিয়ে যাওয়ার এটাও একটা বড় কারণ। এখানেই নির্বাচকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। চ্যাপেল বলেন, 'নির্বাচক কমিটিতে ওজনদার নির্বাচকের থাকা এই জন্যই জরুরি। যাতে প্রয়োজনে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সবসময় প্লেয়াররা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ওরা হয়তো সিদ্ধান্ত নিতে চায়, কিন্তু মোটা অঙ্ক কে ছাড়তে চায়! কে স্বেচ্ছায় ছাড়তে চাইবে? তাই অন্য কাউকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেই কারণেই নির্মাচক মণ্ডলীতে সঠিক লোকজন থাকা দরকার। সঠিক নির্বাচক বাছা উচিত। যারা তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারবে, কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। প্লেয়ার হিসেবে চড়াই-উতরাই থাকবেই। ভাল প্লেয়ারদের অতিরিক্ত সুযোগ দেওয়া হয়। তাই সঠিক ভারসাম্য রক্ষা খুবই কঠিন।' অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে ঘরের মাঠে ১০ ইনিংসে মাত্র ১৩৩ রান করেন রোহিত। গড় ১৩.১০। সমসংখ্যক ইনিংসে ১৯২ রান কোহলির। গড় ২১.৩৩। অস্ট্রেলিয়ায় বাকি তিন টেস্টে ছন্দে না ফিরতে পারলে, এটাই শেষ টেস্ট সিরিজ হতে পারে দুই মহাতারকার।
