আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইস্ট-মোহন ডার্বি জন্ম দেয় নতুন তারার। আবার তারাও খসে পড়ে মাঝ আকাশ থেকে। ২০২০ সালের এরকমই এক ডার্বি দেখেছিল
 নতুন এক তারাকে। তিনি এডমুন্ড লালরিনডিকা। 

৫৯ মিনিটে পিন্টু মাহাতর পরিবর্তে নেমেছিলেন এডমুন্ড। ইস্টবেঙ্গল তখন ১-০ গোলে পিছিয়ে। এডমুন্ড মাঠে নামার পাঁচ মিনিটের মধ্যে মোহনবাগান ২-০ করে নেয়। 

৭১ মিনিটে এডমুন্ড লালরিনডিকার ম্যাজিক। গোলের গন্ধ মাখা পাস বাড়ান ইস্টবেঙ্গলের স্ট্রাইকার মার্কোস এসপাড়াকে। মোহনবাগানের গোল আগলানোর দায়িত্ব সেদিন পড়েছিল শঙ্কর রায়ের উপরে। এডমুন্ডের পাস ধরে সেদিন সহজেই শঙ্করকে পরাস্ত করেন এসপাড়া।   

৭৬ মিনিটে চোট পেয়ে উঠে যান লালরিনডিকা। মোহনবাগানের কাছে সেদিন ইস্টবেঙ্গল ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল। কিন্তু সবার নজর কেড়ে নিয়েছিলেন লালরিনডিকা। 

UPDATE : Edmund Lalrindika joins ...

আরও একটা দৃশ্য তাঁকে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের  হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে দেয়। কর্নার করতে গিয়ে গোটা স্টেডিয়ামকে তাতিয়ে দিয়েছিলেন সেদিন এডমুন্ড। লাল-হলুদের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার সেই দৃশ্য দেখে বলে ফেলেছিলেন, ''এই ছেলেটার মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের আগুন রয়েছে।'' 

সেই ছেলেটাই আগুন বুকে নিয়ে আবার ইস্টবেঙ্গলে ফিরছেন। তাঁকে নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে উন্মাদনা।  

ইন্টার কাশিতে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের কোচিংয়ে খেলেন লালরিনডিকা। ইস্টবেঙ্গলে যাচ্ছেন শিষ্য, সেই খবর পৌঁছেছে অভিজ্ঞ হাবাসের কাছেও। শিষ্যের কথা বলতে গিয়ে অভিজ্ঞ হাবাস বলছেন, ''খুব ভাল খেলোয়াড়।'' 

হাবাসের 'শিষ্য',ডার্বির আবিষ্কার এডমুন্ড লালরিনডিকাকে নিয়ে এখন থেকেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের প্রত্যাশার ফানুসটা চড়তে শুরু করেছে। মাঠে নামলে তা হয়তো আকাশ ছুঁতে পারে।