আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইপিএল চলাকালীনই ইংল্যান্ড সফর নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে বিসিসিআই। আগের দিনই জানা গিয়েছে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতির জন্য ভারতীয় এ দলের হয়ে খেলতে হতে পারে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাকে। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে দুই তারকাই ব্যর্থ হন। তাই আগাম পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তারই মধ্যে একটি খবর সামনে এল। ইংল্যান্ড সফরের আগে ছেঁটে ফেলা হতে পারে টিম ইন্ডিয়ার সহকারী কোচ অভিষেক নাইয়ার এবং ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপকে। গম্ভীরের সাপোর্ট স্টাফ ছোট করার পরিকল্পনায় বিসিসিআই। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, ভবিষ্যতে কোচিং স্টাফের এত বড় ইউনিট রাখতে চাইছে না বোর্ড। ২৯ মার্চ গুয়াহাটিতে হাই-প্রোফাইল বৈঠক আছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন বোর্ডের সচিব দেবজিত সাইকিয়া, নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর এবং কোচ গৌতম গম্ভীর। সেখানেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
টি-২০ বিশ্বকাপের পর দায়িত্ব নেন গৌতম গম্ভীর। প্রথম ভারতীয় কোচ হিসেবে দু'জন সহকারী এবং একজন বোলিং কোচকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। রবি শাস্ত্রী এবং রাহুল দ্রাবিড় যা কখনও করেননি। অভিষেক নায়ার এবং রায়ান টেন দুশখাতেকে সহকারী কোচ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। বোলিং কোচ করা হয় মর্নি মরকেলকে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে হার এবং অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাসকর সিরিজে ব্যর্থতার পর গম্ভীরের সাপোর্ট স্টাফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এনসিএ এবং ভারতীয় এ দলের কোচ সিতাংশু কোটাককে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিযুক্ত করে বিসিসিআই। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলের সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে ছিলেন অভিষেক নায়ার, রায়ান টেন দুশখাতে, মর্নি মরকেল, টি দিলীপ এবং সিতাংশু কোটাক।
এখানেই শেষ নয়। টিম ইন্ডিয়ার জাম্বো স্টাফে রয়েছে তিনজন থ্রো ডাউন বিশেষজ্ঞ, দু'জন ম্যাসাজ থেরাপিস্ট, একজন সিনিয়র এবং জুনিয়র ফিজিওথেরাপিস্ট, একজন ডাক্তার, একজন নিরাপত্তারক্ষী, অপারেশনস ম্যানেজার, কম্পিউটার অ্যানালিস্ট, কয়েকজন লজিস্টিক্যাল এবং মিডিয়া ম্যানেজার। তারমধ্যে অনেকেই প্রায় দশবছর ভারতীয় দলের সঙ্গে রয়েছে। যেমন রাঘবেন্দ্র ২০১১ সাল থেকে টিম ইন্ডিয়ার অঙ্গ। এবার বোর্ড মনে করছে ব্যাটিং কোচ হিসেবে কোটাক এবং বোলিং কোচ হিসেবে মরকেল থাকায়, আরও একজন সহকারী এবং ফিল্ডিং কোচের প্রয়োজন নেই। দ্রাবিড়ের সাপোর্ট স্টাফের থেকে একমাত্র দিলীপই গম্ভীরের টিমে ছিলেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব সামলাবেন দুশখাতে। সম্প্রতি সাদা বলের ক্রিকেটে সফল টিম ইন্ডিয়া। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথমবার মাত্র ন'মাসের ব্যবধানে দুটো আইসিসি টুর্নামেন্টে জিতেছে ভারত। তবে লাল বলের ক্রিকেটে তেমন সাফল্য নেই। শেষ নয় টেস্টের মধ্যে ছ'টিতে হার। মাত্র একটিতে জিতেছে। আইপিএলের পর জুনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। তার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দিতে চাইছে বোর্ড।
