আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফিল সিমন্স, মেহেদি হাসানরা বেশি গুরুত্বই দিচ্ছেন না ভারতকে। এশিয়া কাপে ভারতকে রোখা কঠিন। এখনও পর্যন্ত সূর্যকুমার যাদবের দল চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলছে। বাকি দলগুলো অনেক পিছিয়ে বলেই মনে করা হচ্ছে। সুপার ফোরে পাকিস্তানকে মাটি ধরানোর পরে বুধবার ভারতের সামনে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচও কি একপেশে হবে? বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স অন্যরকম ভাবনা চিন্তা করছেন। তিনি মনে করেন, টুর্নামেন্টের যে কোনও দলেরই ভারতকে হারানোর ক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। বাংলার বাঘেরাও হারিয়ে দিতে পারে ভারতকে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে তারাও আত্মবিশ্বাসী

ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে মেহেদি হাসান বলছেন, ''বেশি কিছু চিন্তা করছি না। শুধু একটা ক্রিকেট ম্যাচ খেলার জন্য যেভাবে থাকতে হয়, সেভাবেই আছি। প্রতিপক্ষ ভারত নাকি অস্ট্রেলিয়া, ওভাবে চিন্তাই করছি না'' 

আরও পড়ুন: ভারতকে হারাতে হবে, পাকিস্তানকে যে দাওয়াই দিলেন ইমরান শুনলে চমকে যাবেন...

এখনও পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৭ বার সাক্ষাহয়েছে টি-টোয়েন্টিতে। তার মধ্যে মাত্র একবারই জিতেছে বাংলাদেশ। ভারত বহু যোজন এগিয়েমেহেদি বলছেন, ''এসব নিয়ে চিন্তাই করছি না। এই হাইপ সৃষ্টি করা। যেভাবে প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আমরা খেলে এসেছি, একই ভাবে ভারতের বিরুদ্ধেও খেলব।"

সিমন্স আবার ভারত-ম্যাচ প্রসঙ্গে বলেছেন,''বিশ্বাস তো থাকতেই হবে। আমাদেরও সুযোগ রয়েছে বলে বিশ্বাস করি। ম্যাচ চলাকালীন সুযোগ সুবিধা এলে তার সদ্ব্যবহার করতে হবে আমাদের। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলে আমাদের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে।''

এদিকে সুপার ফোরে পাকিস্তান ১৭১ রান করেও হারাতে পারেনি ভারতকে। টি-টোয়েন্টিতে ১৭১ খুব একটা খারাপ স্কোর নয়। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৫ উইকেটে ১৭১ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভারত দাদাগিরি দেখাল। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাট শুরু থেকেই চলতে শুরু করল। শাহিন আফ্রিদিকে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে অভিষেক রান তাড়া শুরু করেছিলেন। খেলা যত এগোল ভারতের দুই ওপেনার ততই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করে দিলেন। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ধুয়ে গেল পাক বোলিং আক্রমণ। ৯.৫ ওভারেই ভারত ১০৫ করে ফেলে। শুভমান গিল ৪৭ রানে আশরাফের বলে বোল্ড হন। তার আগে অবশ্য চোট পান গিল।

তাতে ছন্দ নষ্ট হয়অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব খাতা না খুলেই ফেরেন। ভারত দ্রুত গিল ও সূর্যের উইকেট হারায়। ১০৫ রানে এক উইকেট থেকে ১০৬ রানে ২ উইকেট হয়ে যায়। তাতেও দমে যাননি অভিষেক। তিনি রুদ্রমূর্তি ধরেন। নাগাড়ে আক্রমণ করে যান পাক বোলারদের। পাক বোলাররা কোথায় বল ফেলবেন তাই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। শেষমেশ আবরারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। যাওয়ার আগে ৩৯ বলে ৭৪ করে যান তিনি। ৬টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। আউট হওয়ার আগের বলেই ছক্কা মেরেছিলেন অভিষেক। পরের বলেও মারতে গিয়ে ডাগ আউটে ফেরেন। বাকি কাজটা সারেন তিলক (১৯ বলে ৩০*) ও হার্দিক (৭*)। ৭ বল বাকি থাকতে ছয় উইকেটে ভারত ম্যাচ জেতে। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল পাকিস্তান বোধহয় লড়াইয়ে ফিরে এসেছে। কিন্তু অভিষেক ও গিল যে মঞ্চে ভারতকে বসিয়ে দিয়ে যান, তাতে ম্যাচ জেতা ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা।

আরও পড়ুন: ক্রিকেট মাঠের মতোই বিতর্ক ভারত-পাক ফুটবলে, গোল করে 'চা সেলিব্রেশন' পাক ফুটবলারের