আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাসিত আলিকে একসময়ে বলা হত জাভেদ মিয়াঁদাদের নকল। মিয়াঁদাদের মতোই ব্যাট ধরার ধরন। বাসিত বলেন, আমি জাভেদ ভাইয়ের সমান কোনও দিন হতে পারব না।
সেই বাসিত আলি এবার আক্রমণ করলেন পাক ক্রিকেটের দুই মহীরূহ বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ানকে। বাসিত আলি ইউটিউবে ক্রিকেট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। একবার তো সুনীল গাভাসকরকে অতিথি হিসেবে এনেছিলেন। সানি ভাই ধরিয়ে দিচ্ছিলেন বাবর আজমের ব্যাটিং স্টান্সে গলদ রয়েছে। বাসিত আলি যা শুনে তারিফ করেছিলেন গাভাসকরের। ব্যক্তিগত পরিসরেও বাসিত লিটল মাস্টারের গুণমুগ্ধ। এহেন পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা বাবর ও রিজওয়ানকে ক্রিকেট ছেড়ে কেবল বিজ্ঞপান করার পরামর্শ দিলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩৪ বছর পর ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে পাকিস্তান। শেষ ম্যাচেও চলেনি বাবর ও রিজওয়ানের ব্যাট। বাবর ফেরেন ৯ রান করে। রিজওয়ান খাতাই খোলেননি। ৯২ রানে ভেঙে পড়ে পাকিস্তান। ২০২ রানে ম্যাচ জেতে ক্যারিবিয়ানরা।
আরও পড়ুন: কাদের পেছনে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন সামি? মারাত্মক অভিযোগ প্রাক্তন স্ত্রীর
ইউটিউব চ্যানেলে বাসিত বলেন, ''কেরিয়ারের শুরুতে যা পারফর্ম করেছে, এখন সেই সব বেচেই খাচ্ছে ওরা। এখন ওদের দিয়ে স্রেফ বিজ্ঞাপন করানো হোক।''বাবর আজমকে নিয়ে একসময়ে পাকিস্তান স্বপ্ন দেখত। পাক মুলুকে সবাই মনে করতেন ভারতের বিরাট কোহলি রয়েছে। পাকিস্তানের আছেন বাবর আজম। সেই বাবর আজম এখন অনেক অনেক দূরে সরে গিয়েছেন। বাসিত বলছেন, ''ওরা কোচদের কথা শোনেই না। ওরা শোনার ভান করে। ইনজামাম, ইউসুফ বা ইউনিস খানের মতো কাউকে দরকার বাবর-রিজওয়ানদের।''
বাসিত মনে করেন বাবর আজম ইগো সর্বস্ব। এই অহং বোধের জন্যই তাঁর পতন। এর আগে শোয়েব আখতার ব্যর্থতার জন্য দুষেছিলেন পাকিস্তানকে। তিনি বলেছিলেন, ''কামিন্সরা আমাদের খেলোয়াড়দের উলঙ্গ করে দিত।'' ওয়ানডে ফরম্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একশো রানও করতে না পারা পাকিস্তানের শক্তি-সামর্থ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন শোয়েব আখতার। টিম ম্যানেজমেন্টের কড়া সমালোচনা করেছেন রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস।
ওয়ানডে ফরম্যাটে পাকিস্তানের এহেন হার দেখে পাক কোচ মাইক হেসনের সমালোচনা করেন শোয়েব আখতার। টেলিভিশন অনুষ্ঠানে রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ''মাইক হেসন ভাল টি-টোয়েন্টি কোচ। ওয়ানডেতে তাঁর কতটা দক্ষতা আমার জানা নেই। এই ফরম্যাটে ভাল মানের খেলোয়াড় না খেলালে এরকমই হবে।''
৫০ ওভারের ম্যাচে পাকিস্তান ৩০ ওভারও খেলতে পারেনি। কেউ পঞ্চাশও করতে পারেনি। এই হতশ্রী হারের জন্য শোয়েবের নিশানায় টিম ম্যানেজমেন্ট, “প্রতিষ্ঠিত অলরাউন্ডার, ব্যাটসম্যান, বোলার ও স্পিনার না খেলালে, পুরো ৫০ ওভার খেলা সম্ভব নয়।'' শোয়েবের সংযোজন, ''নীতি ঠিক না হলে খেলোয়াড়রা কী করবে! পেস সহায়ক উইকেটে য় খেলোয়াড়দের আসল চেহারা বেরিয়ে আসে।”
পেসাররা যে উইকেটে সহায়তা পায় সেখানে পাকিস্তান ব্যাটিংয়ের কঙ্কাল বেরিয়ে আসে। শোয়েব কটাক্ষ করেন পাক ব্যাটিং অর্ডারের। রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস বলেছেন, ''ওদের ধন্যবাদ জানানো উচিত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে প্যাট কামিন্স বা মিচেল স্টার্ক ছিল না। ওরা থাকলে এবং এই উইকেট পেলে তো আমাদের প্লেয়ারদের উলঙ্গ করে দেবে।''
আরও পড়ুন: ডার্বি আসে, ডার্বি যায়, এ স্মৃতির ভাগ হয় না, ১৮ বছর আগের ১৭ আগস্টে ডুব দিলেন শিল্টন
