আজকাল ওয়েবডেস্ক: অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে কেশব মহারাজ দাপট দেখিয়েছেন। তাঁর বিষাক্ত স্পিনে অস্ট্রেলিয়া শিবির বিধ্বস্ত হয়েছে। পরের দিনই আইসিসি-র ক্রমতালিকায় কেশব মহারাজ শীর্ষস্থান পেয়েছেন।
কিন্তু সেই ম্যাচে আইসিসি-র আচরণবিধি ভেঙেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। তাঁকে তিরস্কার করা হয়েছে। জাম্পার নামের পাশে যোগ হয়েছে এক ডিমেরিট পয়েন্ট।
কিন্তু তাঁকে কেন শাস্তি পেতে হল? দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ঘটনা। ৩৭-তম ওভার চলছে তখন। তাঁর বোলিংয়ে ওভারথ্রো হয়। আর সেই সময়ে তিনি মেজাজ স্থির রাখতে পারেননি। ভাষা প্রয়োগ ঠিক হয়নি তাঁর। স্টাম্প মাইক্রোফোনে ধরা পড়ে সেই ভাষা।
আরও পড়ুন: বুচি বাবুতে নেমেই শতরান, ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে পৃথ্বী যা বললেন জানলে চমকে যাবেন
আইসিসির আচরণবিধির লেভেল ১ লঙ্ঘন করেছেন জাম্পা বলে জানায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা। অজি তারকা অবশ্য নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্টের কাছে। জাম্পা ম্যাচে একটি উইকেট পান। তবে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে সব নজর কেড়ে নেন কেশব মহারাজ।
অস্ট্রেলিয়াকে বুঝিয়েছিলেন তিনিই মহারাজ। আজ গোটা ক্রিকেটবিশ্বকে বুঝিয়ে দিলেন তিনিই সম্রাট। ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে উঠে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা কেশব মহারাজ। ৬৮৭ পয়েন্ট নিয়ে মহারাজই এখন বিশ্বের এক নম্বর বোলার। পিছনে ফেলে দিলেন ভারতের কুলদীপ যাদব ও শ্রীলঙ্কার তিকশানাকে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে পাঁচটি উইকেট নিয়ে নিয়ে প্রোটিয়া ব্রিগেডের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ৩৩ রানে ৫ উইকেট নেন কেশব মহারাজ। তাঁর এই ঘূর্ণির মোকাবিলা করতে না পেরে অজিরা হার মানে ৯৮ রানে।
টি-টোয়েন্টি জিতে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া শিবির। ওয়ানডে শুরু হল অন্য ভাবে। ২৯৭ রান তাড়া করতে নেমে অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ ৯৬ বলে ৮৮ রান করেন। বেশ ভালই এগোচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু কেশব মহারাজ বল করতে এসে অজিদের রান তোলার গতি কমিয়ে দেয়। বলা ভাল অস্ট্রেলিয়া বেলাইন হয়ে যায়।
বিধ্বংসী স্পেলে কেশব মহারাজের বলে মারনাস লাবুশেন এলবিডব্লিউ হন। ক্যামেরন গ্রিনকে বোল্ড করেন। জশ ইংলিশ ও অ্যালেক্স ক্যারিকে দ্রুত ফেরান। অ্যারন হার্ডিও তাঁরই শিকার।
এই বিধ্বংসী স্পেল মহারাজকে এনে দিয়েছে একনম্বর স্থান। প্রথম ওয়ানডেতে একসময়ে অজিদের রান ছিল এক উইকেটে ৬০। সেখান থেকে কেশব মহারাজের দুরন্ত স্পেলে অস্ট্রেলিয়া হয়ে যায় ৬ উইকেটে ৮৯। মার্শ একার হাতে লড়াই চালিয়ে যান। মার্শ ফেরার পরে অস্ট্রেলিয়ার লড়াই শেষ হয়ে যায়। পুরোদস্তুর ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ৪০.৫ ওভারে অজিদের ইনিংস শেষ হয়ে যায়। সেই পারফরম্যান্সের জন্যই মহারাজ আইসিসি-র ক্রমতালিকায় একনম্বর হয়ে গেলেন। পরের ম্যাচগুলোয় অবশ্য কেদার যাদবের দিকে আলাদা নজর দেবেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। জাম্পাকেও সংযত আচরণ করতে হবে পরের ম্যাচগুলোয়। যাতে তাঁর উপরে শাস্তির খাঁড়া ঘা না নেমে আসে।
