আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি এশিয়া কাপে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচেই ফের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। শনিবার ‘নাগিন প্রতিদ্বন্দ্বী’দের বিরুদ্ধে নামছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার কাছে হারের বদলা নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই নামবে টাইগাররা। সেই হারের ফলে শুধু রানরেটই খারাপ হয়নি, চাপের মুখে বাংলাদেশের ব্যাটিং-বোলিং এবং দুটোই ভেঙে পড়ার ছবি ধরা দিয়েছিল। তাই সুপার ফোরে বাংলাদেশ পাবে নিজেদের নতুন করে গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা গ্রুপ বি–তে অপরাজিত থেকে শীর্ষে থেকে সুপার ফোরে উঠেছে। বাংলাদেশ, হংকং ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে তারা পূর্ণ আত্মবিশ্বাসে ভর করে খেলতে নামছে। তবে লঙ্কানদের যাত্রা যে একেবারে নিঁখুত হয়েছে সেটা বলা যাবে না কোনওভাবেই। মাঝের ওভারগুলোতে ধারাবাহিক ভাবে ব্যাটিং ধস বারবার চিন্তা বাড়াচ্ছে। তুলনামূলক দুর্বল দলের বিরুদ্ধেও ম্যাচ জেতা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সেই দুর্বলতাকেই পুঁজি করে এগোতে চাইবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, বাংলাদেশের সুপার ফোরে ওঠার পথ ছিল যথেষ্ট কঠিন। শুরুতে হংকংয়ের বিরুদ্ধে জয় পেলেও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যায় টাইগাররা। এরপর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টানটান লড়াইয়ে মাত্র আট রানে জয় পায় তারা। কিন্তু ভাগ্যও পাশে ছিল তাদের। কারণ শ্রীলঙ্কা যদি শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরে যেত, তবে রানরেটে পিছিয়ে থাকার কারণে বাংলাদেশই ছিটকে যেত টুর্নামেন্ট থেকে। সেই ম্যাচে কুশল মেন্ডিসের ৫২ বলে অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংস শ্রীলঙ্কাকে ছ’উইকেটে জিতিয়ে দেয়। আফগানিস্তানের বিদায়ের মধ্য দিয়ে সুপার ফোরে জায়গা পাকাপাকি করে নেয় বাংলাদেশ। এবার প্রতিপক্ষ সেই শ্রীলঙ্কাই, যাদের বিরুদ্ধে হারের জ্বালা মেটাতে মরিয়া টাইগাররা।
উল্লেখ্য, রবিবার সুপার ফোরে পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। সূর্যকুমার প্রকাশ্যে সলমন আঘার সঙ্গে হাত মেলাননি, যা ঘিরে ইতিমধ্যেই ‘হ্যান্ডশেক কাণ্ড’ নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। পিসিবি এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে সরানোর দাবি জানিয়েছিল। তবে আইসিসি তাদের অনুরোধ কার্যত উপেক্ষা করেছে। পাকিস্তান বোর্ড এমনকি টুর্নামেন্ট বয়কটের হুমকিও দেয়। সব মিলিয়ে রবিবার দুবাইয়ে ভারত–পাকিস্তান সুপার ফোর দ্বৈরথ ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। শুক্রবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে ওমানকে ২১ রানে হারিয়েছে ভারত। তবে যতটা অনায়াসে জেতার কথা ছিল, সেটা হয়নি। বল হাতে লড়াই করার পর, ব্যাট করতে নেমে চমক দেয় ওমান। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৮ রান তোলে ভারত। মনে হয়েছিল, আবু ধাবির মন্থর উইকেটে এই রান তাড়া করতে গিয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে ওমানের ইনিংস। কিন্তু রীতিমত লড়াই করে। এদিন ছিলেন না যশপ্রীত বুমরা।
বাকি ভারতীয় বোলারদের তেমন তোয়াক্কা করেনি প্রতিপক্ষের অনামী ক্রিকেটাররা। নির্ধারিত ওভারের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানে শেষ করে ওমান। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম উইকেটে ৫৬ রান যোগ করে ওমান। ৩২ রানে আউট হন অধিনায়ক যতীন্দর সিং। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৩ রান যোগ করে আমির কালিম এবং হাম্মাদ মির্জা জুটি। দু'জন ভারতীয় বোলিংকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সূর্যকুমাররা সহজে জিতলেও, অপ্রত্যাশিতভাবে ওমান ম্যাচ পুরো ওভার খেলতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে। দ্বিতীয় উইকেটে একটা সময় ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় ওমান। জয়ের লক্ষ্যেই এগোনোর চেষ্টা করেন কালিম, মির্জারা। এই জুটিকে ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল। ৪৬ বলে ৬৪ রান করে কালিম আউট হওয়ার পর ম্যাচ থেকে কিছুটা হারিয়ে যায় মিনোজরা। ২টি ছয় এবং ৭টি চার দিয়ে ইনিংস সাজান ওমানের ওপেনার। ৩৩ বলে ৫১ রান করে আউট হন হাম্মাদ। তবে ওমানের এই লড়াই অন্যান্য অ্যাসোসিয়েট দেশগুলোর কাছে বড় প্রেরণা।
