আজকাল ওয়েবডেস্ক: চোট সারিয়ে মাঠে ফিরলেন তিনি। আর ফিরেই বাঁ পায়ে রূপকথা লিখলেন লিওনেল মেসি। কেরিয়ারের এই সায়াহ্নে পৌঁছে মেসি এখনও ছড়িয়ে দিচ্ছেন এক মুঠো সোনালী রোদ্দুর। সেই ছটায় এখনও চোখ ঝলসে যায় ফুটবলপ্রেমীদের। 

এদিন পরিবর্ত হিসেবে নেমেছিলেন মেসি। আর মাঠে নেমেই তিনি জাদুদণ্ড ঘোরালেন। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। একটি গোল করলেন। একটি অ্যাসিস্ট। মেজার লিগ সকারে ইন্টার মায়ামি ৩-১ ব্যবধানে হারাল লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সিকে। মেসি নামলেন, মেসি গোল করলেন, মেসি গোল করালেন। 

একজন যে ৪৫ মিনিটে অর্থাৎ একটা অর্ধেই ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। দল পিছিয়ে পড়ুক বা গোলের দেখা নেই, লিও মেসি অবতীর্ণ হন ত্রাতার ভূমিকায়।  

আরও পড়ুন: ক্রিকেটের ধারণা বদলে দিচ্ছেন জর্ডন কক্সের মতো ব্যাটারা, রেকর্ড গড়লেন, বোলারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিলেন

চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল মায়ামি। ৪৩ মিনিটে সের্জিও বুসকেটসের দুর্দান্ত পাস থেকে দুর্দান্ত গোল করেন জর্ডি আলবা। বিরতির পরই গ্যালাক্সি ফিরে আসে সমতায়। ৬১ মিনিটে জোসেফ পেইন্টসিলের চমৎকার একক প্রচেষ্টায় গোল হজম করে মায়ামি। এর পরই চিত্রনাট্যে ভোলবদল। মেসির আবির্ভাব। আর সবাই জানেন মেসি নামলেই ম্যাচের রং বদলে যায়। 

চোটের জন্য দুই সপ্তাহ মাঠের বাইরে ছিলেন মেসি। গত ২ আগস্ট লিগস কাপে চোট পেয়েছিলেন। ম্যাচের ১১ মিনিটে মাঠ ছেড়ে যেতে হয়েছিল আর্জেন্টাইনকে। চোট সারিয়ে মেসি ফিরে এলেন আগের মতোই। 

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 17, 2025

এই চোটের জন্রয মায়ামির জার্সিতে নামতে পারেননি লিগস কাপ ও এমএলএসের দুটি ম্যাচ। তাতে কী! মেসি প্রতিটি ম্যাচের জন্য নিজেকে তৈরি রাখেন। প্রতিটি ম্যাচেই ম্যাজিকাল কিছু মুহূর্ত তৈরি করেন।   

৮৪ মিনিটে আসে সেই মুহূর্ত। যার অপেক্ষায় এতক্ষণ ধরে প্রহর গুনছিলেন ভক্তরা। রদ্রিগো দি পলের পাস থেকে বক্সের বাইরে থেকে মাপা শটে প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে নেন মেসি। এলএম ১০ মায়ামিকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন। মেজর লিগ সকারে এটি মেসির ১৯-তম গোল। একানেই সব কিছু শেষ নয়। আরও আছে। পাঁচ মিনিট পরই মেসির জাদু। দুর্দান্ত এক ব্যাকহিল থেকে গোলের গন্ধ মাখা বল বাড়ান সুয়ারেজকে। গোল করতে ভুল করেননি উরুগুয়ান তারকা। ওরকম ব্যাকহিল একমাত্র মেসিই হয়তো করতে পারেন। সুয়ারেজ গোলের পরে হাসতে থাকেন। তিনিও জানেন একমাত্র মেসির পক্ষেই এমন ব্যাকহিল করা সম্ভব। 

গোটা ম্যাচে ২৯টি শট নিয়েছিল মায়ামি। লক্ষ্যে ছিল মাত্র আটটি। এদিনের জয়ের ফলে ২৪ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পঞ্চম স্থানে আছে মায়ামি। শীর্ষে থাকা সিনসিনাটির সংগ্রহ ৫২ পয়েন্ট, যদিও তারা খেলেছে তিন ম্যাচ বেশি। 

আরও পড়ুন: বছরে কত টাকা আয় শচীনপুত্রের? কত সম্পত্তির মালিক অর্জুন?