আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইএসএলের জন্য টেন্ডার ডাকতে পারবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। মঙ্গলবার এই রায় জানাল সুপ্রিম কোর্ট। গোটা প্রক্রিয়ার পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাগেশ্বর রাও। প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে হওয়ার জন্য, তিনি চাইলে পেশাদার সদস্য নিয়োগ করতে পারেন। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ভারতীয় ফুটবলের অচলাবস্থা কাটাতে, ফেডারেশনই মার্কেটিং রাইটস নিয়ে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকবে। এই প্রক্রিয়ায় পর্যবেক্ষণে থাকবে প্রাক্তন বিচারপতির কমিটি। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেই টেন্ডার সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে এআইএফএফকে। ভারতীয় ফুটবলকে আবার সঠিক জায়গায় ফেরাতে সহযোগিতায় আশ্বাস দেয় এফএসডিএল। আগের দিন ফেডারেশনের নির্বাচনের উল্লেখ করা হয়েছিল। সংবিধান বদলের পর নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার এই বিষয়ে কিছু জানায়নি সুপ্রিম কোর্ট। আদৌ শেষপর্যন্ত নির্বাচন হবে কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বাধীন কমিটিই থাকবে না নতুন কমিটি আসবে, সেই নিয়ে এদিন কোনও রায় জানাননি শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, আগের সপ্তাহে এআইএফএফ এবং এফএসডিএলের মধ্যে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়। জানানো হয়, সুপার কাপ দিয়েই শুরু হবে মরশুম। সেপ্টেম্বরে শুরু হবে টুর্নামেন্ট। এছাড়াও জানানো হয়, ডিসেম্বরের আগে আইএসএল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নির্বাচনের পর যে দলই জিতুক না কেন ডিসেম্বরের মধ্যে আইএসএল শুরু করতে হবে। ফেডারেশনের সঙ্গে এফএসডিএলের বৈঠকে এমনই প্রস্তাবিত করা হয়েছিল। সেদিনও মাস্টার রাইটস নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বর্তমান চুক্তির শেষ কিস্তি, অর্থাৎ ১২.৫ কোটি অবিলম্বে ফেডারেশনকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। জানানো হয়, নির্বাচনের পর নতুন কমার্শিয়াল পার্টনারের জন্য টেন্ডর দেওয়া হবে। স্বত্ব ছেড়ে দিতে রাজি ছিল এফএসডিএল। ন্যাশনাল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট কোড মেনে হবে গোটা বিষয়টি। কোনও একটি নির্দিষ্ট সংস্থাকে পুরো বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হবে। পুরো প্রক্রিয়া ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে যৌথ প্রস্তাব রেখেছিল এআইএফএফ এবং এফএসডিএল। ফেডারেশনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেলে আইএসএলের নামও বদলে যেতে পারে। নতুন নামকরণ হতে পারে। আগের বৈঠকে অনেক কিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার শুধুমাত্র ভারতীয় ফুটবলের অচলাবস্থা কাটাতে টেন্ডার ডাকার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। বাকি অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে এদিন কোনও আলোচনা হয়নি।
