‌‌আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ‘‌ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ মালদা‌ শহরে ঢুকেছে। এদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে মুর্শিদাবাদ জেলার বিখ্যাত ছানাবড়া উপহার দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে সাত কেজি ওজনের বিশেষ একটি ছানাবড়া মিষ্টি। বৃহস্পতিবার ‘‌ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’‌ নিয়ে মুর্শিদাবাদে আসছেন রাহুল গান্ধী। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বহরমপুরে এসেছিলেন রাহুল। ২০০৯ সালে বহরমপুরে এফইউসি মাঠে সভা শেষে হেলিপ্যাডে যাওয়ার পথে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী রাহুল গান্ধীকে বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড়ের কাছে একটি মিষ্টির দোকানে নিয়ে যান। সেখানে বসে মুর্শিদাবাদের বিখ্যাত ছানাবড়া খেয়েছিলেন রাহুল। সে সময় রাহুলের পাশে ছিলেন প্রণব মুখার্জি। এবার সময় এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে সম্ভবত ওই দোকানে বসে রাহুলের ছানাবড়া খাওয়া সম্ভব হবে না। তাই রাহুলের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে সাত কেজি ওজনের বিশেষ ছানাবড়া মিষ্টি। 
রাহুল গান্ধী তাঁর দোকানে বসে যে মিষ্টি খেয়েছিলেন, স্মৃতি হিসেবে সেই ছবি এখনও দোকানে টাঙিয়ে রেখেছেন ওই মিষ্টির দোকানের মালিক অরুণ দাস। অরুণবাবুর ইচ্ছে এবারও রাহুলের হাতে ছানাবড়া তুলে দেওয়ার। বৃহস্পতিবার ফরাক্কা দিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রবেশ করবে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, বহরমপুর শহরের বিএসএনএল মোড় থেকে টেক্সটাইল মোড় হয়ে কান্দির নবগ্রাম পর্যন্ত হুড খোলা গাড়িতে যাবেন রাহুল গান্ধী। তখনই টেক্সটাইল কলেজ মোড়ের সামনে রাহুল গান্ধীকে মিষ্টি উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন অরুণ দাস। সেকারণে রাত–দিন এক করে বিশেষভাবে তৈরি হচ্ছে সাত কেজি ওজনের ছানাবড়া মিষ্টি। 
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ জেলার বিখ্যাত ছানাবড়া আগেই ‘‌জিআই’‌ তকমা পেয়েছে। এদিকে, ফরাক্কা ব্লক দিয়ে রাহুল গান্ধীর ‘‌যাত্রা’‌ প্রবেশ করার পর তাঁর হাতে মুর্শিদাবাদ সিল্কের পাঞ্জাবি, সোনিয়া গান্ধীর জন্য সিল্কের শাড়ি এবং ইন্দিরা গান্ধী–রাজীব গান্ধীর ছবি দিয়ে তৈরি বিশেষ স্মারক তুলে দেওয়া হবে জানিয়েছেন ফরাক্কা ব্লক কংগ্রেসের সহ–সভাপতি শেখ হেদায়েতুল ইসলাম।