আজকাল ওয়েবডেস্কঃ কথিত রয়েছে, বাড়ি থেকে কোনও কাজে বেরনোর আগে দই ও চিনি খাওয়া শুভ। চাকরির ইন্টারভিউ হোক বোর্ডের পরীক্ষা কিংবা বিয়ের পিড়িতে বসার আগে বা অন্য কোনও শুভ কাজেও পাত্র-পাত্রীকে খাওয়ানো হয় দই-চিনি। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কেন এই নিয়ম পালন করা হয়? এর পিছনে আসল কারণ কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক-   

যে কোনও নিয়মের পিছনে কিছু কারণ থাকে। দই-চিনি কেবল একটি ধর্মীয় আচার নয়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেও একটি উপকারী রীতি। যেমন- 

* চিনি গ্লুকোজের একটি সহজ উৎস এবং দই প্রোটিনের জোগান দেয়। ঘর থেকে বেরনোর আগে দই ও চিনি খেলে তা আমাদের তাৎক্ষণিক শক্তি দেয় এবং সারাদিনের কাজের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে। 
* দইতে উপস্থিত ভাল ব্যাকটেরিয়া পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। এটি বাইরের গরম আবহাওয়াতে পেটের সমস্যার ঝুঁকি কমায়। 
* গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে দই ও চিনি। এই ঘরোয়া প্রতিকারটি প্রচণ্ড রোদ এবং হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করতে খুবই কার্যকর। 
* পরীক্ষা, ইন্টারভিউ বা যে কোনও বড় কাজের জন্য মানসিক চাপ থাকলে দই ও চিনি তাৎক্ষণিকভাবে দুশ্চিন্তা কমাতে পারে। এটির মিষ্টি স্বাদ মন শান্ত করে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। 

ভারতে দই এবং চিনি খাওয়া শুভ বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক যোগও রয়েছে। অর্থাৎ কেউ যখন মিষ্টি খেয়ে ঘর থেকে বেরন, তখন সব কাজ ঠিকঠাক হবে বলেই মনে করেন পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা। এই ইতিবাচক চিন্তাভাবনা আমাদের কার্যক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। বর্তমান যুগে যেখানে অনেকেই এনার্জি ড্রিঙ্ক এবং প্রোবায়োটিক ক্যাপসুলের জন্য খরচ করেন, তখন সুস্থ থাকতে দই-চিনির মতো একটি সহজ, সস্তা এবং ঘরোয়া প্রতিকার মেনে সুস্থ থাকতে পারেন।