আজকাল ওয়েবডেস্ক: শরীরে জমা টক্সিন বা দূষিত পদার্থ ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। গরমে কিংবা বাতাসে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকলে ঘাম হওয়া অস্বাভাবিক নয়। ভয়, উদ্বেগ বা আতঙ্ক থেকেও অনেক সময়ে ঘাম হয়। কিন্তু অকারণে অত্যাধিক ঘামের পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে জটিল কোনও রোগ। তাই এমন লক্ষণ দেখলে অবহেলা করা উচিত নয়। তাহলে হঠাৎ বেশি ঘাম হওয়ার পিছনে কোন কোন কারণ থাকতে পারে জেনে নেওয়া যাক-

সাধারণত শরীরের মেটাবলিজম রেটের উপর ঘাম হওয়া নির্ভর করে। শরীরে মেটাবলিজম বেশি থাকলে বেশি ঘাম হয়। এছাড়া বেশি পরিশ্রম করলেও ঘাম হওয়া খুব স্বাভাবিক।

হঠাৎ বেশি ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। অনেক সময় হার্টের কোনও সমস্যা থাকলে রোগীর বেশি ঘাম হতে পারে।

ডায়াবেটিসে রোগীর রক্তে শর্করা কমে গেলে ঘাম হতে পারে।

ব্লাড প্রেশার হঠাৎ বেড়ে গেলেও রোগী বেশি ঘামতে শুরু করেন।

অনেক সময় অতিরিক্ত উদ্বেগের কারণে ঘাম হয়। উদ্বেগে হরমোনের ভারসাম্য ব্যাহত হয়। তাই যাঁরা মানসিক চাপে থাকেন তাঁদের বেশি ঘাম হতে পারে।

মেনোপজের সময় অনেক মহিলার বেশি ঘাম হতে দেখা যায়।

রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লেও এমন হতে পারে।

ঘামের সঙ্গে যেহেতু সোডিয়াম, পটাশিয়াম বাই-কার্বোনেট বেরিয়ে যায়। তাই বেশি ঘাম হলে শরীর দুর্বল ও অস্থির হয়ে পড়ে। তখন জলের সঙ্গে নুন, চিনি, পাতিলেবু মিশিয়ে সরবত খেলে ভাল হয়। গরমে দইয়ের ঘোল ও ডাব খেতে পারেন। ফ্রেশ ফ্রুট জুস ও টাটকা ফল খান। ভিটামিন বি-১২-এর অভাবে যেহেতু হাইপারহাইড্রোসিস হয়। তাই বি-কমপ্লেক্স যুক্ত খাবার খান। পাশাপাশি থাইরয়েড হয়েছে কিনা তা রক্ত পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত। আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন – এসপারাগাস, ব্রকোলি, রেড মিট, সাদা পিঁয়াজ, খাবার লবণ যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত। চা-কফি কম খেতে হবে।