আজকাল ওয়েব ডেস্ক: স্মৃতিশক্তির মূলে জিনের বড় ভূমিকা থাকলেও মানুষের হাতেও কিছু আছে। কিছু খেলা বা কিছু বিশেষ পুষ্টিকর খাবার আছে যা জীবনযাপনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। একদম ছোট থেকে সেই বিশেষ খাদ্য বা শৃঙ্খল জীবনযাপন মেনে চললে শুধু স্মৃতিশক্তি নয়, বুদ্ধিও বাড়ে বাচ্চার। পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয়। আত্মবিশ্বাস ও স্মার্টনেসও বাড়ে। বাজারচলতি বিভিন্ন নামিদামী কোম্পানির প্রোটিন পাউডার আপনার সন্তানের জন্য কতটা উপকারী ও সুরক্ষিত তা বুঝতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এইসব পাউডারকে সুস্বাদু করতে ও বাচ্চাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে এতে কিছু রাসায়নিক বা মিষ্টি জাতীয় জিনিস মেশানো হয়। যা আপনার শিশুর স্বাস্থ্যে অনেকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করুন এই পাউডার যার গুনাগুন অপরিসীম।জেনে নিন কীভাবে বানাবেন।

এই প্রোটিন পাউডার তৈরি করতে প্রথমে প্যানে এক কাপ করে আখরোট ও আমন্ড বাদাম দিন। অল্প আঁচে বসিয়ে নাড়তে থাকুন। হালকা ভাজা হলে ও সুগন্ধ বেরোলে নামিয়ে সরিয়ে রাখুন আলাদা পাত্রে। এরপর হাফ কাপ করে কুমড়োর বীজ, ফ্ল্যাক্স সিড ও চিয়া সিড নিন। এদেরও সমানভাবে হালকাভাবে অল্প আঁচে নেড়ে নিন। সব ভেজে রাখা উপকরণগুলো মিক্সারে দিয়ে দিন। দু' চামচ কোকো পাউডার দিন। সম্পূর্ণ উপকরণগুলো ব্লেন্ড করে পাউডার তৈরি হয়ে যাবে। একটি কাচের এয়ারটাইট জারে রাখুন এই প্রোটিন পাউডার। বাচ্চাকে বিকেলের হালকা স্ন্যাকসের বদলের এই পাউডারকে দুধের সঙ্গে বা জল দিয়ে মিশিয়ে দিন। যদি খেতে আপত্তি করে তবে ডাল, রুটির আটা মাখার সময় মিশিয়ে দিতে পারেন।

এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম প্রোটিন ও আয়রন যা সন্তানের ব্রেনের উন্নতি করে ও বুদ্ধিও বাড়ে। পড়াশোনায় মনোযোগ আসে, নতুন চিন্তাশক্তি তৈরি করার ক্ষমতাও মজবুত হয়।

আখরোটে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফোলেট, ভিটামিন বি ১ এবং বি ৬ মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদানগুলি মস্তিষ্কের ক্ষতিকারক অণু এবং প্রদাহকে দূর করে। আখরোটে থাকা পুষ্টিগুণ মস্তিষ্কের অক্সিডেটিভ ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে।

আমন্ডে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন, ও আয়রন শিশুর বুদ্ধির বিকাশে সাহায্য করে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। তাছাড়া আমন্ডে থাকা ফ্যাট, প্রোটিন, ও ফাইবার অনেকক্ষণ ধরে পড়াশোনা করার এনার্জি দেয়। চিয়া সিডের পুষ্টি আপনার সন্তানের মস্তিষ্কের কোষকে ক্ষতির থেকে রক্ষা করে।